ভোলার চর গুলোতে এখন চলছে তরমুজ তোলার উৎসব। চাষি আর বেপারীদের পদচারনায় মুখোর ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চলগুলো। তরমুজের ভাল ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এবার ভেজায় খুশি তরমুজ চাষিরা। ভোলার প্রতিটি চরে চলছে তরমুজ বেঁচা কেনার ধুম। বেপারীরা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ভোলার তরমুজ চলে যাচ্ছে বরিশাল- ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

বিগত বছর গুলোতে প্রকৃতিক দুর্যোগের কারনে এ বছরে লক্ষ মাত্রার চেয়ে কম জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে।  মাত্র ৫ হাজার ৫ শত ৫৬ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে কিন্তু লক্ষ মাত্র ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৭ শত ২২ হেক্টর জমি।

আবাদ কম হলেও চাষিরা ফলন ও দাম পেয়েছে ভাল। গত দু’ বার করোনা সহ প্রকৃতিক দুর্যোগের কারনে দিশে হারা হয়ে পড়েছিল কৃষকরা। কিন্তু এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং মাঠ জুড়ে তরমুজের অসম্ভব ফলন দেখে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। কৃষকরা জানায় এবার তরমুজে কোন প্রকার পোকার আক্রমন চোখে পড়েনি। ড্রাগন ও পাকিজা জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে বেশি।

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা নিরাপদ ফসল উৎপাদনে তরমুজ চাষিদের মাঝে ফেরোমেন ফাদ, কালার ফাদ, ভার্মি কম্পোষ্ট ও জৈব বালাই নাশক বিনা মুল্যে বিভিন্ন চরে বিতরন করেছে বলে জানান গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক জাকির হোসেন মইন।

ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চর কালেঙ্গার তরমুজ চাষি ইউছুপ মাঝি জানান, তিনি ১২ গন্ডা জমি থেকে ইতিমোধ্যই ৬৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ১ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রির কথা হচ্ছে। করিম মাঝি জানান, এক কানি জমিতে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, বিগত বছর গুলোতে তরমুজ চাষে ভোলার কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। সেজন্য এবার চাষ কম হয়েছে তবে ফলন হয়েছে প্রচুর বাজার দাম ও পাচ্ছে ভাল। আগামী বছর গুলোতে ভোলার চাষিরা আরো তরমুজ ফলনে আগ্রহী হবে বলে তিনি আশাবাদী।