চলমান লকডাউনে শ্রমিকদের জন্য মাসিক সরকারি অনুদানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোবিড-১৯ কালে অবশ্যই শ্রমিকদেরকে সাবসিডি দিতে হবে। এই মুহুর্তে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় দাবি।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক ভার্চূয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এই দাবি জানান। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রয়াত সদস্য জাফরুল হাসানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন। প্রচার সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলন।

ফখরুল বলেন, আমরা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় চলে গেছি, দোয়া, মিলাদ করছি, স্মরণ সভা করছি। সংগঠন গড়ে না তুললে আন্দোলন কিভাবে হবে? সরকার পরিবর্তন করতে হলে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হলে তো প্রধান যে দুইটা শক্তি দরকার। একটা হচ্ছে ছাত্র সংগঠন, আরেকটি শ্রমিক সংগঠন। সেই সংগঠন আমরা গড়ে তুলতে পারছি না। এটাই আমাদের ব্যর্থতা। সেই কারণে আমি অনুরোধ করবো আসুন আমরা সবাই পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করি, কথা বলি –কিভাবে সংগঠনগুলোকে আবার গড়ে তোলা যায় সেই চেষ্টা করি।

দলের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ আমাদের দলের অনেক কষ্ট, অনেক দুঃসময়। দলের প্রধান যিনি আমাদের নেতৃত্ব দেন সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তিন বছর ধরে আজকে কারাগারে। এটা ভাবা যায় না কল্পনা করা যায় না। ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা। নতুন করে আবার শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, এই কয়েকদিনে ২০ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। করোনায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান রুহুল কবির রিজভী থেকে শুরু করে অনেকে আজকে অসুস্থ্য হয়ে, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। মওদুদ ভাই সহ অনেকে ছেড়ে চলে গেছেন। এই অবস্থা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। আমি দলের যে পদেই থাকি না কেনো আমি আপনাদেরই্ একজন সহকর্মী। শ্রমিক আন্দোলনের একজন কর্মী হয়ে সবসময় আপনাদের সাথে আছি।