×

জাতীয়

অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামুনুলকে গ্রেপ্তার : ডিসি মতিঝিল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২১, ০৫:০০ পিএম

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গত ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকসহ সংগঠনটির ১৭ নেতার নামে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে মামুনুল হককে এক নম্বর ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাকে গ্রেপ্তার হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, ‘আমরা তদন্ত করব। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সৈয়দ নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মামলাটি গতকাল রাতে হয়েছে। আমরা আসামিদের প্রকৃত পরিচয়, তারা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে, ২৬ তারিখ তারা কোথায় ছিল, বায়তুল মোকাররমে সরাসরি উপস্থিত ছিল কি-না, তারা নাশকতার নির্দেশ-উসকানি দিয়েছে কি-না, হামলার অর্থদাতা বা মাস্টারমাইন্ড কি-না তা শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

গত ২৬ মার্চ সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে সরকার দলীয় লোকজনও ছিল। সরকারদলের একজনই এই মামলাটি করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি বলেন, ‘যিনি মামলা করেছেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি টাইলসের আঘাতে আহত হয়েছেন। তার অন্য কোনো পরিচয় আছে কি-না তা আমরা খুঁজে বের করব।’

এজাহারভুক্ত হেফাজত নেতারা ঘটনাস্থলে ছিলেন কি-না? এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নামাজের পর মসজিদের বেদীর ওপরে অনেকে কথা বলছিল, সেখান থেকেই সংঘর্ষের শুরু। তবে সেখানে কোনো সিনিয়র নেতাকে দেখিনি। অনেকে ভেতরে ছিল, সিনিয়র নেতারা ভেতরে ছিল কি-না তা তদন্তে উঠে আসবে।’

এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনসহ কয়েকটি ধারায় পল্টন থানায় মামলাটি করেন আরিফ উজ জামান নামে ওয়ারীর এক বাসিন্দা।

অন্য ১৬ আসামি হলেন- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব লোকমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব নাসির উদ্দিন মনির, নায়েবে আমির বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নায়েবে আমির মাজেদুর রহমান, হাবিবুর রহমান, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী ও সহকারী মহাসচিব জসিম উদ্দিন। এছাড়াও রয়েছেন- সংগঠনটির টঙ্গীর সহ-সাংগঠনিক মাসুদুল করিম, অর্থ সম্পাদক মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী, প্রচার সম্পাদক যাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা ফয়সাল আহমেদ, সহকারী দাওয়া সম্পাদক মুশতাকুন্নবী, ছাত্র ও যুব সম্পাদক হাফেজ মো. জোবায়ের ও দফতর সম্পাদক হাফেজ মো. তৈয়ব।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘বায়তুল মোকাররমে মামুনুল হকের নির্দেশে ১৭ হেফাজত নেতার নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, ছোরা, কুড়াল, কিরিচ, হাতুড়ি, তলোয়ার, লাঠিসোটাসহ অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আরিফ-উজ-জামান গুরুতর আহত হন।’ এজাহারে এ ঘটনার পেছনে হেফাজতের সঙ্গে জামাত-শিবির-বিএনপি জঙ্গি কর্মীদের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App