রাজধানীর বিমানবন্দরে নির্মানাধীন ভবনে তু্চ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহকর্মীর হাতে মামুন (১৭) নামে এক নির্মানশ্রমিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। আর মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে নাটক সাজানোর চেষ্টা করে অপর দুই সহকর্মী। ভবন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে নাটক সাজায় তারা।

বিমানবন্দর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন জানান, মামুন বিমানবন্দরের ভিতরে একটি নির্মানাধীন বিমান গ্যারেজে কাজ করতো। বিকেলে নিহতের সহকর্মীদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প থেকে খবর পাই নির্মানাধীন ভবন থেকে নিচে পড়ে আহত হবার পর সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু না পেয়ে। হাসপাতালে গিয়ে মামুনের সহকর্মী ফাহিম ও ঠিকাদার ইকবালকে দেখতে পাই। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ফাহিম স্বীকার করে মামুনকে তাদের আরেক সহকর্মী রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে। তখন ফাহিম ও ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তদন্তের পর আরো বিস্তারিত জানা যাবে।

মামুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহকর্মী ফাহিম রাতে জানায়, তারা কয়েকজন বিমানবন্দরে কাজ করছিল। দুপুরে মামুন মাচান বেধে দেয়াল প্লাস্টারের কাজ করছিল। ভবনের নিচে দাড়িয়ে কাজ করছিলো আরেক শ্রমিক লেলিন। তখন উপর থেকে কিছু মিশ্রিত বালু ও সিমেন্ট লেলিনের মাথায় পড়ে। এ বিষয় নিয়ে তাদের সাথে হাতাহতি হয়। এক পর্যায়ে মামুন লেলিনের মাথায় রড দিয়ে একটি আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে গেলে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা করায়। এরপর দুপুরে কাজ শেষ করে মামুন বিমানবন্দরের ভিতরেই ম্যাসে ভাত খেতে যায়। লেলিন হাসপাতাল থেকে ফিরে সেই ম্যাসে যায়। সেখানে শুয়ে থাকা মামুনকে তখন লেলিন রড দিয়ে বুক, পিঠ ও মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় মামুনকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা।

এর আগে মামুনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে পুলিশকে ঠিকাদার ইকবাল ও ফাহিম জানায়, ভবনের ৩তলার বাহির পাশে মাচান বেধে কাজ করার সময় মামুন মাচান মাচান থেকে পড়ে আহত হয়েছে। মামুনের বাড়ি দিনাজপুর চিবিড়বন্দর উপজেলার মোহনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মাজেদুল ইসলাম।