×

পুরনো খবর

শিশু দিবাযত্নসহ সংসদে তিন বিল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২১, ০৫:১১ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিশনের দ্বিতীয় দিনে তিনটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। এগুলো হলো-বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল ২০২১, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১’ এবং ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’। বিলগুলো পরে আরো আলোচনা পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল ২০২১ সংসদে তোলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। পরে তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রম পরিচালনা এবং পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণে দেশে নতুন আইন হচ্ছে। নতুন এ বিল অনুযায়ী কোনও ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড পরিচালনার জন্য সরকারের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ থেকে তিন মাসের মধ্যে সনদ নিতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে তার জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বিধান করা হয়েছে। এই আইনের অপরাধ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যাবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মোংলা বন্দরের স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রেখে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে দুই মাসে মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সালে প্রণীত আইনগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এ জন্য ‘মোংলা পোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স-১৯৭৬’ এর পরিবর্তে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। বিলে বলা হয়েছে, কেউ যদি টোল, রেট, মাশুল ইত্যাদি ফাঁকি দেয়, তবে একমাসের জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে।

শনিবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন। বিলে বলা হয়েছে, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার সেন্টার) স্থাপন করতে হলে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন ও সনদ নিতে হবে। পরে বিলটি পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে এই সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদাণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।

বিলে বলা হয়েছে, শিশু বা ক্ষেত্রবিশেষে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি তিন মাসে একবার করে শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে।

এই আইন পাস হওয়ার পর অনুমোদন ছাড়া কেউ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে না। অনুমোদন ছাড়া এসব পরিচালনা করলে অপরাধ হবে। নিবন্ধন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র চালালে দুই বছরের জেল ও দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App