করোনা সংক্রামণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোতে অর্থের প্রবাহ বাড়ানো হবে। এ কারনে করোনার আঘাতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে চাকরি হারানো শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে যারা বেকার হয়েছেন তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে ‘প্রো পুওর বন্ড বা দরিদ্রবান্ধব বন্ড’ নামে একটি নতুন বন্ড চালুর সঙ্গে সঙ্গে চার দফা প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো যে তিনটি সুপারিশ করেছে সেগুলো হলো, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষী বন্ড’ নামে নতুন একটি বন্ড বাজারে ছেড়ে টাকা সংগ্রহ করে সেগুলো হতে প্রয়োজনীয় খাতে ব্যবহার করা। সাময়িকভাবে এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি) খাতে আরোপিত করের হার কমানো সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেওয়ার হার পুনর্বিবেচনা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিষয়গুলো উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি প্রতিবেদন সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজারে বন্ড ছেড়ে টাকা সংগ্রহ করা ইতিবাচক। এতে সুদের হার বেশি পড়ে। তবে অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবহিদিতা থাকা জরুরী। তবেই বন্ডের উদ্দেশ্য সফল হবে।

মূলত, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোর অনেক অর্থই অলস পড়ে রয়েছে। যা এই খাতে ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও বাড়তি টাকার জোগান দেওয়া হবে। প্রয়োজনে দেওয়া হবে নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ। তবে বন্ডের ধরন সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনুমোদন দেওয়া হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব বন্ড বাজারে ছাড়ার বিষয়ে কাজ করবে।