×

মুক্তচিন্তা

স্বাস্থ্যবিধি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করুন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৮ এএম

দেশের গণপরিবহনে গত বুধবার সকাল থেকে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া কার্যকর হয়েছে। এজন্য ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদিও ভাড়া বাড়লেও বাসগুলোতে অর্ধেক আসন খালি রাখা হবে কি-না কিংবা স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মানা হবে তা নিয়ে উদ্বেগ আছে অনেকের মধ্যেই। দেখা গেছে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশনায় বেশিরভাগই বাসে ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন না। এতে করে অফিসগামীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। আর এ সুযোগে পরিবহন চালক শ্রমিকরা যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে গণমাধ্যমে খবর আসছে। রাজধানীতে গণপরিবহনে নৈরাজ্যের খবর নতুন কিছু নয়। গত বছর করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষার অংশ হিসেবে গণপরিবহনে দীর্ঘদিন অর্ধেক আসন খালি থাকার শর্তে ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে এক ধরনের নৈরাজ্য আমরা দেখেছি। এবারো তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। এমন নৈরাজ্যের নিরসন জরুরি। ঢাকা শহরের প্রায় ২ কোটি মানুষের ৮০ ভাগই নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণিভুক্ত। এরা গণপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। করেনাকালীন এই দুঃসময়ে সাধারণ মানুষের এই নির্ভরশীলতাকে পুঁজি করে পরিবহন মালিকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এত করে সকালবেলা ঘর থেকে বেরিয়ে অফিসমুখী বাস ধরতে গিয়ে প্রতিদিনই অনাকাক্সিক্ষত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে কর্মজীবী মানুষ। পরিবহন খাতে এই নৈরাজ্য দিনের পর দিন চলতে পারে না। সিদ্ধান্ত ছিল, ১৮ দফা শর্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন। দুই সিটে বসবে এক যাত্রী। সিট খালি থাকবে অর্ধেক। কম যাত্রী পরিবহনের এ ক্ষতি পোষাতে ভাড়া বাড়বে ৬০ শতাংশ। কিন্তু সব শর্ত সীমাবদ্ধ। মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। কোথাও যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারও দেয়া হয় না। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকা এ সময়ে গণপরিবহনই করোনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দেশে দিন দিন করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধসহ এমন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। করোনা দুর্যোগের কারণে এ সময়ে গণপরিবহনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ স্বাস্থ্য সতর্কতা অবলম্বন। গণপরিবহনগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রী নেয়ার নিয়ম না থাকলেও তা কমই কার্যকর হতে দেখা যায়। অন্তত এ সময়ের জন্য হলেও নির্দিষ্ট আসনের অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার প্রবণতা বন্ধ করতেই হবে। পাশাপাশি সংকটে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়ার ভোগান্তিটা যাত্রীসাধারণকে যেন পোহাতে না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে তা পুষিয়ে নেন পরিবহন মালিকরা। সরকারকে সংঘবদ্ধ এই চক্রকে প্রতিহত করতে এগিয়ে আসতে হবে। যাত্রীসাধারণের বৃহত্তর স্বার্থেই অবিলম্বে এই অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। কেবল সরকারের সতর্কতাই যথেষ্ট নয় বরং আমরা মনে করি, বাস মালিক সমিতিসহ চালক ও যাত্রী সবারই সচেতন হওয়া জরুরি। গণপরিবহনে যাত্রী ওঠার ক্ষেত্রে যেভাবে হুড়োহুড়ি করে বাসে উঠতে দেখা যায়, তা বন্ধ করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App