×

সাময়িকী

পারমিতার জগৎ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২১, ১২:১০ এএম

ফরিদ আহমদ দুলাল তবু ভাগ্য ভালো আপনি আমার কাছে এসেছেন আপনি তো অন্য কোথাও চলে যেতে পারতেন! : অন্য কোথাও মানে? কোথায় যেতে পারতাম? কার কাছে? কোথায় গেলে শান্তি পেতাম? : পার্কে বা নদীর ওপাড়ে মটরসুটি বাগানে খঞ্জনা পাখির পিছনে নদীতটে হাঁটতেন মনে মনে। : আমি কি আপনার মতো কবি না-কি, যে বিনা প্রয়োজনে নদীতীরে হাঁটবো, মনে মনে পাখির পিছনে ঘুরবো! : না, এ কথা সত্যি আপনি আমার মতো কবি নন। আপনি আপনার মতো কাব্যময়! আপনার নিজের মতোই আপনি ছন্দময়। কবিতার জন্য যতটা আবেগ প্রয়োজন, ততটাই প্রয়োজন সংযম। আপনার মধ্যে আবেগের ঘাটতি নেই সামান্য; কিন্তু আবেগ সামলানোর কলা শেখা হয়নি একেবারে; ওটা আয়ত্ত হয়ে গেলেই আপনি পুরোদস্তুর কবি হয়ে যাবেন। তখন অনিচ্ছায়ও আমি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যাবো। একটা সত্যি কথা বলি, আমি যে ‘পাহাড়-দুহিতা’ শিরোনামে কবিতাটি লিখেছি, সেটা মূলত আপনার আবেগকে সম্মান জানাতেই লিখেছি। : তাহলে আপনি আমায় আবেগ সামলানোর কৌশলটাই শিখিয়ে দিন? : কেনো ওটা শিখে কী করবেন? আপনি কি কবি হতে চান? কবিতার দহনজ্বালা সইতে পারবেন? : না-না আমি পুড়তে চাই না! এমনিতেই দহন জ্বালায় দগ্ধ হচ্ছি, নতুন করে আর পুড়তে চাই না। আচ্ছা ভালো কথা, বলেছিলাম আমার হাতটা দেখে দিতে? কিছুই তো বললেন না? : হাত দেখার প্রয়োজন কী, আমি তো এমনিতেই আপনার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারি। : তাই? আচ্ছা, বলুন তো শুনি কেমন পারেন? : সত্যি শুনতে চান? : নিশ্চয়ই! বলুন? সবুজ চোখ বন্ধ করে বলতে শুরু করলেন : আপনি পারভিন, পাহাড়-দুহিতা। আপনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে মাটির সাথে। মাছের সাথে খেলা করতে আপনার খুব ভালো লাগতো, কতদিন পাহাড়ি ঝরার জলে মাছের পেছনে ছুটতে ছুটতে আপনি হারিয়ে ফেলেছেন পথ। স্কুল থেকে ফেরার পথে মাছের পিছনে ছুটতে গিয়ে কতদিন বাড়ি ফেরার কথাই ভুলে গেছেন; মনে পড়ে সেসব দিনের স্মৃতি? : আপনি এসব কী বলছেন কবি! কোথায় পেলেন আপনি এসব কথা? : আমি কি ভুল কিছু বলেছি? এখন আপনি মেডিকেলে পড়ছেন, কিছুদিন পর ডাক্তার হবেন; গ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবা দেবার স্বপ্ন নিয়ে নিজ গ্রামে গিয়ে ডাক্তারি করতে চাইবেন; কিন্তু নানান প্রতিকূলতা আর বাস্তবতার কারণে শেষ পর্যন্ত আপনার আর গ্রামে থাকা হবে না। হয় চাকরি নিয়ে চলে যাবেন কর্মস্থলে না হয় কোনো শহরে গিয়ে চেম্বার খুলে বসবেন। কবির কথা আমার মনে মন্ত্রের মতো কাজ করলো যেনো। আমি নিজের অজান্তেই কবির হাত দু’টি চেপে ধরলাম। আকুতিভরা কণ্ঠে বললাম, “প্লিজ কবি, আপনি আমার হাতটা দেখবেন? আমাকে আপনি বন্ধু ভেবে আপনার পাশে জায়গা দেবেন?” আমার কথায় কবি হাসলেন, “আমি তো আপনার বন্ধুই! আমি আপনার বন্ধু না হলেও আপনাকে তো আমি আমার বন্ধুই ভাবি।” : তাহলে কেনো আমাকে ‘আপনি’ সম্বোধন করে দূরে সরিয়ে রাখছেন? : সে তো আপনিও রাখছেন। আপনি কি আমায় ‘তুই’ বা ‘তুমি’ বলছেন? আমার আপনাকে ‘আপনি’ বলা যদি অপরাধ হয়; একই অপরাধে আপনি অভিযুক্ত নন? : আপনি তো আমার বয়সে বড়। : বন্ধু হলে আর বড়-ছোট কী? বন্ধু তো শুধু বন্ধুই হয়। ভালোবাসার পূর্বশর্তই হলো পরস্পরের জন্য কিছু ছাড় দিয়ে সমান সমান হতে হবে। তা সে বয়সেই হোক, আর চিন্তা-চেতনায়ই হোক পরস্পরের সমান না হলে ভালোবাসা হয় না। : আচ্ছা, আজ থেকে, এখন থেকেই ‘তুমি’। তোমার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়ে ভালোবাসতে চাইবো তোমাকেই। : আমাকেই কেনো? আমাকেও। আমিই একমাত্র নই, অনেকের মধ্যে আমিও একজন। : অনেকের মধ্যে তুমিও একজন কেনো? তার মানে কি আমার সাথে তুমি আরও পাঁচজনকে ভালোবাসবে? : নিশ্চয়ই! তুমি তো আমার বন্ধু, অনেক বন্ধুর তুমিও একজন। যদি তুমি আমার প্রেয়সী হতে, তখন এ প্রশ্ন উঠতেই পারতো। : প্রেমিকা হলে দোষ কী? : দোষ-গুণের প্রশ্ন কেনো আসছে? আমরা তো পরস্পরের সাথে প্রেমের অঙ্গিকার করিনি; বন্ধুত্বের অঙ্গিকার করেছিমাত্র। : বন্ধু কি প্রেমিক হতে পারে না? বন্ধুত্ব থেকেই তো প্রেমের জন্ম হয়। : তাও হয়, হতেই পারে। সেটা তো সময়ই বলবে। আপাতত তুমি আমার বন্ধু পাহাড়-দুহিতা, পার্বতী। : দেখো, আমি তোমার সাথে তর্কযুদ্ধে বিজয়ী হতে আসিনি। তোমার একটু ঘুমের প্রয়োজন, তুমি ঘুমাও, আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। সবুজকে শুইয়ে দিয়ে আমি ওর খাটে বসে চুলে আঙুল চালিয়ে দিলাম, সবুজ চোখ বন্ধ করে বললো, “কিন্তু তোমার তো খাওয়া হলো না?” আমি সবুজের কপালে আলতো করে নিজের গালটা ছুঁইয়ে দিয়ে বললাম, “ক্ষুধা পেলে তো খাবো। তুমি চুপচাপ ঘুমাও তো! আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।” সবুজ সুবোধ বালকের মতো চোখ বুজে শুয়ে থাকলো। ॥৭॥ সবুজ চোখ বুজে আছে, আমি ওর মাথায় আঙুল চালাচ্ছি। দু’জনার মধ্যে কোন কথা নেই। আমি চাইছিলাম না ঘুমিয়ে যায় কবি, আমি চাই কবি কথা বলুক। আমার সাথে অবিরাম কথা বলুক। কবি আমার কথা বলুক-আমায় নিয়ে কথা বলুক! কিন্তু সবুজ যেনো ভাবনার অতলে ডুবে আছে। কী ভাবছিলো সবুজ চোখ বন্ধ করে আমি জানি না; আমার মনে অনেক কথাই জাগছে; একবার মনে হলো সবুজ পারমিতার কথা ভাবছে; হয়তো মনে মনে চাইছে পারমিতা যদি ওর মাথার চুলে আঙুল চালাতো আর আলতো করে কপালে একটা চুমু দিতো? ভাবনাটাকে নিজেই সরিয়ে দিলাম টান দিয়ে। পারমিতার কথা ভাববার প্রয়োজন কী? ও তো কিছু না বলেই চলে গেছে, কী দায়িত্ব পালন করেছে সে সবুজের জন্য? সেই যে গেছে, তার কোনো পাত্তাই নেই! তারচেয়ে সবুজ আমার কথা ভাবুক; সবুজ ভাবুক, আমি কি ওকে ভালোবাসি? কেনো আমি ওর কবিতা মুখস্ত করে ফেলি? কী আমি আবিষ্কার করেছি সবুজের কবিতায়? কেনো আমি বারবার ছুটে আসি সবুজের কাছে? কেন আমার খাদ্যে অরুচি? হঠাৎ সবুজের কথায় আমার ভাবনার সুতো ছিঁড়ে গেল। : আচ্ছা পারভিন, তোমাকে একটা কথা বলি; তুমি কি বলবে, কেনো আমার জন্য তোমার মনে এতো উদ্বেগ? আমার যত্নে কেনো তুমি এতো নিষ্ঠাবতী? কেনো তুমি আমার কবিতা মুখস্ত করে ফেলো? কেনো না খেয়ে আমার কাছে এসে বসে থাকো? সবই কি তোমার বন্ধুর প্রতি দায়? : কেনো তোমাকে এসব প্রশ্নের জবাব আমায় দিতে হবে? তুমিই তো বললে, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে তুমি আমার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সব বলে দিতে পারো? : সে তো নিশ্চয়ই পারি, কিন্তু তোমার মন কী ভাবছে এই মুহূর্তে তা তো বলতে পারি না। মানুষের ভাবনার তো কোনো স্থিরতা নেই। যা সে ভাবছে, হয়তো তা সে করছে না। হয়তো যা সে করছে, তার ভাবনার মধ্যে তা মোটেই নেই। তাকে তো নিত্য পরিপার্শ্ব আর বাস্তবতার সাথে নিকেশ করে নিতে হয়। : তাহলে তুমি ঘুমাও। আমাকে আমার ভাবনায় ডুবে থাকতে দাও। একটা কথা মনে রেখো আমি পাহাড়-দুহিতা। পাহাড়ের মতোই অবিচল আমার মন; সহজে সামান্য বাতাসে টলে পড়া আমার স্বভাব নয়। : আমার কী সাধ্য তোমাকে টলাবার কথা ভাবি? আমি বড়জোর মেঘ হয়ে পাহাড়ের দৃঢ়তার কাছে নিজের কাতরতা নিবেদন করতে পারি। মেঘের স্পর্শে পাহাড় গলে পড়ে না, সে সত্য আমার অজানা নয়। তুমি তো উত্তর জনপদের মানুষ, তুমি নিশ্চয়ই করমশাহ-টিপুপাগলার কথা জানো; তুমি নিশ্চয়ই পাগলপন্থী বিদ্রোহের কথা জানো? টংক আন্দোলন-হাজং বিদ্রোহের কথা জানো? : এতো সব কঠিন কথা আমি কোত্থেকে জানবো? তবে হ্যাঁ এটুকু নিশ্চয়ই জানি, টিপু পাগলার আস্তানা আমাদের অঞ্চলেই ছিলো, হাজংদের নিবাসও আমাদের অঞ্চলে; তবে করমশাহ সম্পর্কে আমি তেমন কিছুই জানি না। টংক আন্দোলন উত্তর জনপদেই হয়েছিলো; কিন্তু এসব জটিল বিষয়ে কথা বলার যোগ্যত্যা আমার নেই। আমার ধারনা হয়েছে, এসব সব বিষয়ে তুমি অনেক তথ্যই জানো; আমাকেও যদি কিছু জানাও আমি তোমার শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে পারি। : তুমি কী মনে করো, আমার মস্তিষ্কে বিকৃতি ঘটেছে? পাহাড়-দুহিতাকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করে শেষপর্যন্ত পাহাড়চাপা পড়ে মরি আর-কি! তুমি কেনো, একজন অজ্ঞ মানুষকে জ্ঞান দিয়ে আলোকিত করবার মতো আলো আমার সঞ্চয়ে নেই। আমি তো নিত্য অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে সন্তরণশীল আছি; নিত্য আমি আলোর সন্ধান করি। তোমার আগ্রহকে আমি সম্মানের সাথে মাথায় রাখি, তোমার জনপদের কারণে। তুমি দুর্গাপুরের মেয়ে; জন্মসূত্রেই তুমি ধারণ করো পাগলপন্থী বিদ্রোহ, টংক আন্দোলন, হাজং বিদ্রোহ; জন্মসূত্রেই তুমি করমশাহ, টিপু পাগলা, কমরেড মনি সিংহ, রাশিমনি হাজং, কুমুদিনী হাজংয়ের উত্তর প্রজন্ম। উত্তর জনপদের মানুষ সংগ্রাম করতে জানে। উত্তর জনপদের মাটির কারণেই তোমার মধ্যে থাকতে পারে লড়াই করে টিকে থাকার স্পর্ধা! আমি তো জানার আগ্রহে বারবার ছুটে যাই উত্তর জনপদে। ফাড়ংপাড়ার টিলায় টিলায় আমি ছুটে যাই সাহস খুঁজতে। : তুমি কি আমায় করমশাহ, টিপু পাগলা, কমরেড মনি সিং, রাশিমনি হাজং, কুমুদিনী হাজং-এর কথা, পাগলপন্থী বিদ্রোহ, হাজং বিদ্রোহ আর টংক বিদ্রোহের বিষয়ে কিছু জানাবে? আমার জনপদের মানুষের লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস তো জানাই দরকার। : ডাক্তারি পেশার জন্য ওসব জানা জরুরি নয়। তোমায় জানতে হবে অসুস্থ মানুষকে নিরোগ করার কলা। অবশ্য হতদরিদ্র মানুষের বঞ্চনা আর কষ্টের কথা একজন ডাক্তারের জানা থাকলে, তার সেবাব্রত অধিকতর মানবিক হবার সুযোগ তৈরি হয়। : ডাক্তার হিসেবে ইতিহাস জানাটা জরুরি নয় নিশ্চয়ই, কিন্তু উত্তর-জনপদের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে নিজের ইতিহাস সম্পর্কে জানাটা জরুরি নয়, কি বল? : তা জরুরি, যদি তুমি মনে করো। কিন্তু আমি তো ইতিহাসের ছাত্র নই; আমি যেটুকু জানি, তা একজন সচেতন মানুষ হিসেবে নিজের প্রয়োজনে জানা; একাডেমিক কথা তো আমি বলতে পারবো না; আমি কেবল তোমাকে বিষয়গুলো সম্পর্কে একটা ধারনা দিতে পারি। : আমি তো সেটাই চাইছি। তাহলে আমার ক্লাসটা কবে-কখন নিচ্ছো? : ক্লাস নিচ্ছি মানে? বললাম না, ক্লাস নেবার জ্ঞান আমার নেই। আমি মানুষের স্বপ্ন খুঁজে ফিরি; যখন যেখানে যে স্বপ্নের সন্ধান পাই, তাকে বুকে ধারণ করে আবার তা বৃহত্তর জীবনের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। : আমিও কি পারি না তোমার কাছ থেকে কিছু স্বপ্ন ধার নিয়ে, নতুন সময়ে নতুন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে? তাছাড়া নিজের জনপদ সম্পর্কে জানাটাও তো আমার দায়! : নিশ্চয়ই। তোমার এ ভাবনাগুলো আমাকে আগ্রহী করে তোলে তোমার সম্পর্কে। কিন্তু পাশাপাশি তোমাকে আরও একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমাদের সামনে মনে হয় ভয়াবহ এক দুঃসময় ওৎ পেতে বসে আছে। স্বপ্নগুলো আমাদের ভেঙে যাচ্ছে টুকরো টুকরো হয়ে, পরস্পরের প্রতি আস্থা আর বিশ্বাসের ভীত নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। : এ কথা কেনো বলছো? আমি কি তোমার সাথে কোনো অবিশ্বাসের কাজ করেছি? : তুমি কে? তুমি তো উত্তর জনপদের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পড়তে এসেছো এ শহরে। তোমার বিশ্বাস-অবিশ্বাসে, তোমার আস্থা-অনাস্থায় কী হবে আমাদের? একবার তুমি ভাবো, বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষ, যাঁর তর্জনীর মাথায় ছিলো সাত কোটি বাঙালির বিশ্বাস, যাঁর এক ডাকে প্রাণ হাতে নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো বাঙালি যোদ্ধারা, পুলিশ-ইপিআর-সেনাবাহিনি; মায়ের আঁচলের ছায়া ফেলে যুবকেরা যুদ্ধক্ষেত্র হাজির, সদ্যপত্নীকে ছেড়ে বাঙালি উপস্থিত হলো রণাঙ্গনে! করতলে মেহেদীর দাগ মোছার আগেই যুবতী বউটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে গেলো; যাঁর অমোঘ আহ্বানে সাড়া দিতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ মানুষ ঢেলে দিলো বুকের খুন; লক্ষ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারালো যে স্বাধীনতা অর্জনে; সেই স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতার মহানায়ককে আজ প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে! তাঁকে সপরিবারে হত্যা করলো যারা, কী তাদের পরিচয়? ওরাও একাত্তরের সশস্ত্র যোদ্ধা! জেলহত্যা করালো কারা? তারাও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন! বঙ্গবন্ধুর রক্তের উপর পা রেখে গদিতে বসলো কে? সে মীরজাফরও বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার লোক। স্বাধীনতা বিরোধীদের গদিতে বসাচ্ছে কে? গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিতে চাইলো কে? সে-ও না-কি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সিপাহসালারদের একজন! নবাব সিরাজউদ্দৌলা নাটকে মৃত্যুর আগে হতভাগ্য সিরাজের সংলাপগুলো স্মরণ করো- ‘হাজার হাজার সৈন্য পলাশীর প্রান্তরে পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে রইলো, আর পরাজয় পেছন থেকে এসে সকলের ললাটে লাঞ্ছনার কালিমা মাখিয়ে দিয়ে গেলো! কৈফিয়ৎ কে দেবে? একা তোমাদের নবাব না সিপাহসালারও!’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App