×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে সন্ধ্যা ৬টার পর সব দোকানপাট বন্ধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৩৬ পিএম

চট্টগ্রামে সন্ধ্যা ৬টার পর সব দোকানপাট বন্ধ

ফাইল ছবি

প্রতিদিন করোনা ভাইরাস নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে। শুক্রবার (২ এপ্রিল) জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৮ জন। এর আগের দিন আক্রান্ত হয়েছিল ২৮৭ জন। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ।

করোনা প্রতিরোধে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেই চট্টগ্রামে

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৮০১ জন। এই পর্যন্ত করোনায় মারাও গেছেন ৩৮৯। অথচ সংক্রমণের উর্ধগতির এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েও স্বাভাবিক সময়ের মতোই সভা-সমিতি,আচার-অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন চলছে। করোনা প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানামুখী নির্দেশনা প্রদান করা হলেও তাতে পরিকল্পনার সংকট রয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে করোনার অতিরিক্ত সংক্রমণ সামলাতে শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে চট্টগ্রামের সব শপিং সেন্টার, বিপণিকেন্দ্র, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখতে হবে। শুধু ওষুধের দোকান ও কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। নির্দেশনা অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হবে।

কিন্তু সেই কাঁচাবাজারেই জনসমাগম সবচেয়ে বেশি। এমন অবস্থায় সেই কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার মো.গালিব চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, আগামীকাল শনিবার থেকে ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর ভাবে মনিটরিং শুরু হবে। কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কিং বা ফিতা দিয়ে দূরত্ব বজায় রাখাসহ প্রয়োজনীয় বিষয় বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জনসমাগমস্থল বা বিভিন্ন সভা,সমিতি বন্ধ করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত আসবে শীঘ্রই।

এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর ভোরের কাগজকে বলেন, করোনা পরিবর্তিত সিকোয়েন্স সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। তাই এই ভাইরাস অপ্রতিরোধ্য পর্যায়ে রয়েছে। সংক্রমণের এমন পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে সামনের দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করা দুস্কর হয়ে পড়বে। সরকার একদিকে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। আর অন্যদিকে মিটিং-মিটিং, জনসভা, আচার অনুষ্ঠান সব চলছে। পরিবহনে যাত্রী অর্ধেক করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। সবখানে গতবারের মতো অপরিকল্পিত আয়োজন দেখা যাচ্ছে। অথচ আমাদের কিন্তু গত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রশাসনকে নানামুখী পদক্ষেপের পাশাপাশি তৃণমূল জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। পাড়া-মহল্লা কমিটি,মুরুব্বীদেরকে দায়িত্ব দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তগুলোকে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলে তা ভাল হবে। তৃণমূলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে তৃণমূল শক্তিকেই কাজে লাগাতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App