×

পুরনো খবর

মেলায় ৫০ বই নিয়ে ভোরের কাগজ প্রকাশন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২১, ০৯:১৭ পিএম

মেলায় ৫০ বই নিয়ে ভোরের কাগজ প্রকাশন

ভোরের কাগজ প্রকাশন

মেলায় ৫০ বই নিয়ে ভোরের কাগজ প্রকাশন
এবারের বইমেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে দেশের ঐহিত্যবাহী জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ প্রকাশন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে (সুবর্ণ জয়ন্তী) দেশের ৫০ বিশিষ্ট লেখকদের ৫০ টি বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রকাশনা জগতে আত্মপ্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বরাদ্দ পেয়েছে স্টল। নান্দনিক ও আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো ভোরের কাগজ প্রকাশন স্টলটি পাঠক ও বইপ্রেমীদের যেমন মুগ্ধ করছে তেমনি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি, হেফাজতের হরতালসহ অন্যান্য কারণে এবার মেলার ঢিলেঢালা পরিস্থিতিতে স্টলে উপচেপড়া ভিড় না থাকলেও পাঠকদের মধ্যে কৌতুহল বাড়িয়েছে। এবার ভাষার মাস থেকে পিছিয়ে গেলেও ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া বইমেলায় অংশ নিয়েছে নতুন ১০টি স্টল। ভোরের কাগজ ছাড়া অন্য স্টলগুলো হলো-বর্ণমালা, প্রহেলিকা, ঈহা প্রকাশ, কিংবদন্তী পাবলিকেশন, সমর্পন প্রকাশন, স্বদেশ শৈলী, অনুভব প্রকাশনী, রেনেসা, শিশু প্রকাশনা বইবাড়ি। ভোরের কাগজ প্রকাশনের বিক্রয় প্রতিনিধি নাঈম জানালেন, আমরা একে তো নতুন, তার ওপর একেবারে মেলার শেষ প্রান্তে আমাদের অবস্থান হওয়ায় পাঠকের খুঁজে নিতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তবে নতুন হিসেবে সাড়া পেলেও বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না। কারণ সবাই প্যাভিলিয়নমুখি। এক্ষেত্রে স্টলবিন্যাস পরিকল্পিত না হওয়ায় ছোটদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বর্ণমালার স্বত্বাধিকারী মামুন অর রশিদ বলেন, কোন সাড়া পাচ্ছি না। কারণ এই মেলা ফেব্রুয়ারির বইমেলা নয়। ফেব্রুয়ারির বইমেলাটাকে সবাই উৎসব হিসেবে নিয়েছি। বর্তমানের এই মেলা অসময়ের মেলা। তার ওপর করোনার প্রভাব, এর মধ্যে হরতাল, আন্দোলনের প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে। তার ওপর চৈত্রের প্রখর রোদের তাপ। এসব মিলিয়ে শুরু থেকেই মেলায় আসছে না মানুষ। যারা আসে তারা ৫টায় অফিস শেষ করে ৬টার দিকে আসে। এখন  ৬টায় মেলাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন হুট করে ৩ টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মেলার সময় বেধে দেওয়ায় যা হওয়ার তাই হচ্ছে, হবে। এতে আমরা আরো বেকায়দায় পড়ে গেলাম। সব মিলিয়ে আমার অভিজ্ঞতা একেবারেই বাজে। আমি চরম হতাশ। মামুনের সাথে সুর মেলালেন স্বদেশ শৈলীর স্বত্বাধিকারী আশিকুর হাসান। তিনি বলেন, নতুন হিসেবে খুব একটা সাড়া পাচ্ছি না। করোনার কারণে ক্রেতা কম। তার ওপর আমরা নতুন। নতুনদের গ্রহণ করতেও তো পাঠকের সময় লাগে। অপরদিকে সময়টাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতো কম সময়ে মানুষ মেলায় আসবে কী করে? বিক্রিই বা করব কখন? তার উপর ঢাকা শহরের যে জ্যাম। আমরা হতাশ। প্রহেলিকার স্বত্বাধিকারী আশিকুর রহমান বলেন, সারাদিন একটা বইও বিক্রি হয়নি। এমনিতে করোনার ভয়, হেফাজতের আন্দোলন সহ নানা ঝামেলায় বিক্রি বিক্রি হচ্ছে না। তার উপর মেলার সময় কমিয়ে দেওয়ায় প্রথম হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা বাজে। সঠিক স্টলবিন্যাস না হওয়ায় আমরা আরো বেকায়দায়। সব মিলিয়ে মেলায় নতুন হিসেবে অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। অন্যদের কণ্ঠেও ধ্বণিত হলো স্টল বিন্যাসে পরিকল্পনাহীতা, নতুনদের প্রায়রিটিতে না রাখাসহ নানা হতাশা এবং আয়োজক প্রতিষ্ঠানের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App