×

মুক্তচিন্তা

বিএনপি কেন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করার দাবি জানাল!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৯ এএম

গত ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বছর উদযাপনের একটি সীমিত রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা নির্ধারিত দিনে উপস্থিত ছিলেন। প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে খুব সীমিতসংখ্যক অতিথির উপস্থিতিতে আগত রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানকে নিয়ে আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বছর ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে সেগুলোর উপস্থাপন করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৫ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান শুধু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না, বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা, বিভিন্ন মন্ত্রী এবং কোনো কোনো রাষ্ট্রপ্রধান রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিটি সরকারের পক্ষ থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিগুলো বাংলাদেশ এবং সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থ-সামাজিক কারিগরি, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকার অনুষ্ঠানের বাইরেও গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছেন। এছাড়া তিনি গোপালগঞ্জ এবং সাতক্ষীরার দুটো গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরে পূজা দিয়েছেন। ঢাকায় ফিরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া বেশ কিছু সংযোগ স্থাপনার ও যোগাযোগ ক্ষেত্রের উদ্বোধন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ১২ লাখ টিকা উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও উভয় দেশের মধ্যে অমীমাংসিত নদীর জল ও সীমান্ত হত্যার সমাধানে নিকট ভবিষ্যতে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রতিশ্রুতিও পাওয়া গেছে। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো। লক্ষণীয় বিষয় হলো, নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশে হেফাজতসহ কিছু ধর্ম নামধারী গোষ্ঠী বেশ উত্তেজনাকর বিবৃতি প্রদান ও মিছিলের আয়োজন করেছিল। অন্যদিকে কিছু কিছু বাম ছাত্র সংগঠন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের নেতৃত্বে একদল তরুণ শাপলা চত্বরে মিছিল করার চেষ্টা করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত ছিলেন বা আছেন তারা নরেন্দ্র মোদির এই আগমন উপলক্ষে বিরোধিতাকারীদের আচরণকে উগ্র ভারতবিরোধিতার অংশ হিসেবেই দেখতে পেয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে সেই দেশের সরকারপ্রধান হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে সাহায্য করেছিল সেটিকে কোনো অবস্থাতেই খাটো করে দেখার নয়। নরেন্দ্র মোদির দলীয় পরিচয় এখন প্রধান নয়। তার সরকারপ্রধানের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টি এই অনুষ্ঠানে যোগদানের মর্যাদাকে ভারতেই ঐতিহাসিক ভূমিকার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। সুতরাং যারা ভারতবিরোধিতাকে রাজনীতির একটি ইস্যু হিসেবে সবসময় ভেবে থাকেন তারা নানা প্রশ্ন তুলে এই অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির আগমনকে প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। তবে তাদের এমন ঘোষণা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। তারপরও তারা দিন তিনেক ধরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো মিছিল ও সমাবেশ করে নরেন্দ্র মোদির আগমন ঠেকানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর ছিল। ফলে নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষে হেফাজত ও ধর্মীয় নামধারী কিছু কিছু গোষ্ঠী মিছিল, সমাবেশ ঢাকায় খুব একটা কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা সহিংস কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করায় সেখানে কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে হেফাজত রবিবারে হরতাল আহ্বান করে তাতেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত করা হয়। ঢাকায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি, তবে হেফাজত এবং জামায়াত শিবিরের চেষ্টা ছিল গুজব রটিয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করা। সরকার টের পেয়ে ২৬ তারিখ দুপুর থেকে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়। ২৬ মার্চের দুদিন আগে আকস্মিকভাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্যারেড গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রীয় আয়োজিত অনুষ্ঠান করোনার কারণে বন্ধ করে দেয়ার দাবি উত্থাপন করতে থাকেন। তার এই দাবি শুনে অনেকের কাছেই প্রশ্ন জেগেছিল, কেন তিনি বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বছরে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান শেষ পর্যায় এসে বাতিল করার দাবি জানিয়েছিলেন, সেটির কোনো যুৎসই জবাব কেউ খোঁজে পাচ্ছিল না। তবে যেটি বুঝা যাচ্ছিল তা হচ্ছে, শেষ দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসবেন, তিনি ঢাকার বাইরেও কিছু জায়গায় পরিদর্শন করবেন, বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেনÑ এটি হয়তো বিএনপি খুব ভালোভাবে নিতে পারছিল না। মির্জা ফখরুল সাহেব অবশ্য দাবি করছিলেন যে, যে দুটি মন্দিরে তিনি পূজা দিতে যাবেন তাতে তার বিজিপি দল বর্তমানে পশ্চিম বাংলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তিতে লাভ যোগ করতে পারে। সে কারণেই বাংলাদেশে সফরে এসেছেন, বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি বা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বছরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো তার মূল লক্ষ্য নয়। এই দাবিটি অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। কিন্তু দুটি মন্দিরে যাওয়ার ফলে নরেন্দ মোদির ভারতে ভোট প্রাপ্তিতে লাভ হবে কিনা সেটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাতে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের প্রশ্ন তোলার উদ্দেশ্য কেবল হতে পারে মূল জায়গা থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া। অতীতে আমাদের দেশে কোনো কোনো সরকারপ্রধান রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক শেষে আজমীর শরিফে জিয়ারতের উদ্দেশ্যেও গেছেন। সেটি নিয়ে ভারতের কিংবা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তুলেছে কিনা জানি না। কিন্তু বিএনপির মহাসচিব অনুষ্ঠান বন্ধ করার যে দাবি তুলেছিলেন সেটি পরোক্ষভাবে মোদির উপস্থিতি বন্ধ করার চিন্তা থেকেই করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। নরেন্দ্র মোদির আগমনকে উগ্র সাম্প্রদায়িক দলগুলো কিংবা বাম ছাত্র সংগঠনগুলো যেভাবে প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমেছিল বিএনপি হয়তো সেভাবে কর্মসূচি দেয়া শোভনীয় মনে করেনি। তেমনটি করলে বিএনপির সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক কী হতো তা আমরা বলতে পারব না। তবে অতীতে নরেন্দ্র মোদি যখন ঢাকায় রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন তখন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হোটেল শেরাটনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সুতরাং এখন নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরুদ্ধে বিএনপি যেসব কথা বলেছেন সেগুলো খুব বেশি ধোপে টিকে না। তাছাড়া ভারতের সঙ্গে সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গেও মির্জা ফখরুল যেভাবে সরকারকে সমালোচনা করেছেন তা কতটা বিএনপির জন্য প্রযোজ্য সেটি বিবেচনার বিষয়। আওয়ামী লীগের শাসনামলে গঙ্গার পানি চুক্তি, ছিটমহল, ট্রানজিট, রেল যোগাযোগ, কানেকটিভিটি, সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ ইত্যাদি বহু পুরনো বেশ কিছু সমস্যার সমাধান আওয়ামী লীগ করতে পেরেছে। কিন্তু বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় ছিল কোনোবারই ওইসব সমস্যার সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা নেই। ফলে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় গুলি চালানো ও তিস্তার পানি চুক্তি এবং বেশ কিছু নদীর পানির হিস্যা নিয়ে আলোচনা চলছে। এসব সমস্যার সমাধানও আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান আসবে বলে কূটনীতিবিদরা মনে করেন। ভারতের প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে উগ্র হঠকারী গোষ্ঠীর মতো সবকিছুতে বিরোধিতা করে কখনো কোনো সমস্যার সমাধান আশা করা যায় না। এটি পাকিস্তানি যুগের ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের নমুনা হতে পারে। বিএনপি সেই ধারারই অনুসরণ ত্যাগ করতে পারছে না। এর মাধ্যমে হয়তো কিছু ভোট প্রাপ্তির সুযোগ ঘটে। কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক, যোগাযোগ, সমস্যার সমাধান না ঘটলে রাষ্ট্রের উন্নতি হয় না। পাকিস্তান এখনো পর্যন্ত পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে বৈরিতা জিইয়ে রেখে দেশের অভ্যন্তরে এক ধরনের সুযোগ লাভ করা, যা শেষ বিচারে রাষ্ট্র ও জনগণের কোনো উন্নতিতে অবদান রাখে না। নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষে মির্জা ফখরুল যেসব অভিযোগ সমাধানের কথা বলছেন তা হয়তো নিকট ভবিষ্যতে আলোচনার মাধ্যমেই হয়ে যেতে পারে। তখন তিনি কী বলবেন। তিনি আরো বলেছিলেন যে, করোনার এই সংকটকালে বিদেশি সরকারপ্রধানদের ঢাকায় এনে জনগণকে ৫০ বছর পূর্তির আয়োজনে অংশ নিতে বঞ্চিত করা হয়েছে। কথাগুলো কতখানি সত্য তা বলা মুশকিল। এছাড়া মির্জা ফখরুল আরো দাবি করেছেন, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানগুলো খুবই সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে অতিথির সংখ্যাও খুবই কম রাখা হয়েছে। আবার তিনি দাবি করছেন করোনার কারণে অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়া উচিত। এখন কোনটা উচিত, কোনটা উচিত নয় সেটি কে নির্ধারণ করবেন। তবে রাষ্ট্রীয় এই অনুষ্ঠান ও আয়োজন যেভাবে পালিত হয়েছে তাতে আনুষ্ঠানিকতার দিক অত্যন্ত ছোট ছিল। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমঝোতা চুক্তি ও পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ ব্যাপকভাবে ঘটেছে। তাছাড়া ভিডিও মাধ্যমে সারাবিশ্বের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেছিলেন, সেটি হয়তো মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের মনঃপূত হয়নি। কিন্তু প্রায় সব দেশের সরকারই স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০-১২ বছরে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যথেষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ যদি এই উন্নতি লাভ না করত তাহলে এত বড় বড় রাষ্ট্রের শক্তিশালী ও প্রভাবশালী সরকাররা বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে কিংবা বঙ্গবন্ধুর ১০০ বছরের জন্মশতবর্ষ ও সুবণজয়ন্তীতে প্রশংসাসূচক বাণী পাঠাত না। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়টিকে এতটা গুরুত্ব দিত না। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে কতটা সমৃদ্ধি লাভ করেছে তা ওইসব রাষ্ট্র এবং সরকারের প্রেরিত বার্তা থেকেই প্রতিফলিত হয়। অথচ মির্জা ফখরুল প্রায় প্রতিদিনই বক্তৃতায় বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার হতাশার কথা জানাচ্ছেন। দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, লুটেপুটে খাচ্ছে এবং দেশের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে, বিদেশে বাংলাদেশের বন্ধু নেই এমন দাবিও করা হচ্ছে। কিন্তু এই ১০ দিনের অনুষ্ঠানে প্রমাণিত হয়েছে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এখনো যথেষ্ট ভালো। হ্যাঁ, সমালোচনার যথেষ্ট জায়গা আছে। দুর্নীতির অভিযোগ আছে। কিন্তু দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই উন্নয়শীল দেশের মর্যাদা লাভ করতে পেরেছে এবং করোনার এই অতিমারিতেও পাঁচটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান ঢাকায় উপস্থিত হয়েছিলেন। এসবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। বিএনপি অনুষ্ঠান বন্ধ করার দাবি করেছে, কিন্তু দাবি যুক্তিযুক্ত হয়নি, মানাও হয়নি। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ঠেকেছে হেফাজতে ইসলামের হরতালকে বিএনপি দলগতভাবে সমর্থন জানায়নি, কিন্তু যৌক্তিক বলে দাবি করেছে। বিএনপির এত স্ববিরোধিতা সবার কাছেই দৃশ্যমান ছিল। বিদেশি বন্ধুরাও নিশ্চয়ই বিএনপির তালগোল পাকানো এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলার কৌশলটি সহজেই বুঝতে পারছেন। মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App