×

সারাদেশ

আশাশুনিতে রিংবাঁধ ভেঙে কয়েকটা গ্রাম প্লাবিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২১, ০৫:৫২ পিএম

আশাশুনিতে রিংবাঁধ ভেঙে কয়েকটা গ্রাম প্লাবিত

বাঁধ ভেঙে পানির স্রোত। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ

আশাশুনিতে খোলপেটুয়া নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫টি পয়েন্টে রিং বাঁধ ভেঙে কয়েকটা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খোলপেটুয়া নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এতে আশাশুনি টু দয়ারঘাট সড়কের অস্থায়ী রিংবাঁধ ৫টা পয়েন্টে ভেঙে আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট, জেলেখালি গ্রামসহ কয়েকটা গ্রাম প্লাবিত হয়। অপরদিকে প্রতাপনগর হরিষখালি ভেড়িবাঁধ অভারফ্লো হয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করছে।

কুড়িকাউনিয়া, রুইয়ারবিল, শুভদ্রাকাটিসহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ভেড়িবাঁধ ভেঙে যেকোনো মুহূর্তে এলাকার শত শত মৎস্য ঘের ও গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। আম্পানে ভেঙে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ছোট ছোট কয়েকটি পয়েন্ট কয়েক মাস ধরে বাঁধতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এ নিয়ে এলাকার স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

শীতের সময় কাজ হবে করে করে আবার বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। কিন্তু বাঁধ বাঁধার দৃশ্যমান কোনো প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। এরপর সবাই এগিয়ে এসে ক্ষতিগ্রস্ত রিং বাঁধ যেনতেনভাবে মেরামত করে জোয়ারের পানি আটকে দিয়েছেন। এরমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা এলাকায় আসেননি বা খবর নেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

এ ব্যাপারে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ার জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁধগুলো বাঁধতে না পারলে রাতের জোয়ারে পানি ঢুকে আরও প্লাবিত হতে পারে। সদর ইউপি চেয়ারম্যান স.ম সেলিম রেজা মিলন বলেন এখানে ভাঙবে আমারা আরও আগে থেকেই জানতাম। আমি বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছি, কিন্তু তারা বিষয়টি গুরত্ব দেননি। গতকালকেও আমি স্থানীয় লোকজন নিয়ে বেড়িবাঁধে কাজ করেছি। আজ অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় পাঁচটি পয়েন্টে রিংবাঁধ ভেঙে আমার ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করছে।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসাইন খাঁন বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথে আমিসহ আমার এসিল্যান্ড সেখানে গিয়েছি । বিষয়টি ডিসি স্যারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা বাঁধ আটকানোর কাজ শুরু করেছি ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App