×

জাতীয়

অনেক উন্নত দেশেও গণমাধ্যম এতো স্বাধীন নয়: তথ্যমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২১, ০৬:৩১ পিএম

অনেক উন্নত দেশেও গণমাধ্যম এতো স্বাধীন নয়: তথ্যমন্ত্রী

মঙ্গলবার রাজধানীর ডিআরইউ-তে ‘৫০ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: ভোরের কাগজ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে, অনেক উন্নত দেশেও এ পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে না। মঙ্গলবার (৩০মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘৫০ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শওকত মাহমুদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রমূখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাজ্যে একটি ভুল সংবাদের কারণে ১৬৭ বছরের পুরোনো পত্রিকা ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’, বন্ধ হয়ে যায়। বিবিসিকে পৃথিবীর প্রথম সারির গণমাধ্যম হিসেবে ধরা হয়, সেখানে একজন এমপির বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করায় মামলা হয়। সেজন্য বিবিসির প্রধান নির্বাহী থেকে শুরু করে পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু অসত্য বা ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য বাংলাদেশের কোনো সংবাদপত্র বন্ধ হয়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যে প্রতিনিয়ত ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়। আমাদের দেশে অসত্য সংবাদ, ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয় না এটি কেউ বলতে পারবে না; প্রচুর হয়। কিন্তু এ অসত্য বা ভুল সংবাদের কারণে কোনো সংবাদপত্র বন্ধ হয়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের দেশে একজনের বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ করা হলে প্রতিবাদটিও সমান গুরুত্বে ছাপা হওয়া এবং টিভিতে কোনো অসত্য প্রতিবেদন হলে তার প্রতিবাদও সমানগুরুত্বের সঙ্গে প্রচারে যত্নবান হতে হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ আইন সবার নিরাপত্তার জন্য, কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য নয়। ড. হাছান প্রশ্ন রেখে বলেন, কোনো সাংবাদিক বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে লেখা হলে তিনি কোন আইনে প্রতিকার পাবেন? ডিজিটাল পদ্ধতি যখন ছিল না তখন এই আইনের প্রয়োজনও ছিল না। তবে এই আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয় সেদিকে দৃষ্টি খেয়াল রাখতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন দৈনিক পত্রিকা সাড়ে ১২শ’। ১২ বছর আগে টেলিভিশন ছিল ১০টি, এখন ৩৪টি। আরো ১১ টি চ্যানেল আসার অপেক্ষায়। এখন অনলাইন গণমাধ্যমের সংখ্যা কয়েক হাজার। নিবন্ধনের জন্য ৫ হাজার আবেদন জমা হয়েছে। কিছু নিবন্ধন দিয়েছি, আরো দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সভাশেষে সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘সিটি ব্যাংক-ডিআরইউ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App