হেফাজতে ইসলামকে দমন করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে নামতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সোমবার (২৯ মার্চ) কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এসব বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে পুনর্গঠন ও পুননির্মাণকরতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভবিষৎতে দেশ কীভাবে চলবে, সেই নির্দেশনাও দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে বিকল্প কিছু না পেয়ে ধর্মান্ধের স্লোগান ছাড়া তাদের সামনে কিছুই নেই। তবে এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় গ্রহণ করে তারা। সাম্প্রদায়িকতার ওপর আশ্রয় নিয়ে দেশের ওপর আঘাত করতে চায়। হেফাজত বা তাদের আড়ালে জামায়াত-শিবির পাকিস্তানি শক্তি সক্রিয়। তারা কোনো বিচ্ছিন্ন শক্তি নয়।

তিনি আরো বলেন, এগুলোকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই সরকারের। কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, হেফাজতের মধ্যে অধিকাংশই জামায়াতের লোক। মামুনুল হকের পিতা কে ছিল? তাদের অন্যরা কারা? আপস করে কখনও লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। রাজনীতিতে আজ যেটা শুরু হয়েছে, তা অশনি সংকেত। এটা বন্ধ করতে না পারলে, আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে নামতে হবে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার চ্যালেঞ্জ যারা দিয়েছিল, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারা কিছুতেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নির্বিঘ্নে পালন করতে দেবে না। এত বড় ঘটনা তালেবানদের অতীতের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, জাতীয় পার্টি-জেপি মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিদকার, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।