বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। গত তিন দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের যে প্রাণ গেল সেজন্য এই সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী। তাই সরকারকে জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে এবং এই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।

সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের এই সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেছে। আমরাও চাই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর হোক।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ করেছি সরকার তার পেটুয়াবাহিনী দিয়ে নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার করেছে। আমাদের দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায়সহ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের অনেক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।

ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের এই সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেছে, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠপূর্ণ সম্পর্ক। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিস্তা পানি চুক্তি হয়নি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এটা আছে কিনা আমার জানা নেই। যে একটা সভ্য দেশে শুধুমাত্র বর্ডার ক্রস করার জন্য গুলি করে হত্যা করা হয়। এজন্য বিচার ব্যবস্থা থাকতে পারে কিন্তু গুলি করে হত্যা করার বিধান আছে বলে আমার জানা নেই।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আজকে আহবান জানাতে চাই। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। স্পষ্ট ভাষায়  আওয়ামীলীগকে বলতে চাই, আপনারা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় প্রতিটি বিকৃত সরকারকে যেভাবে পদত্যাগ নিতে হয়েছে, আপনাদেরকে একইভাবে বিদায় নিতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের ‍উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ জলবায়ু সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।