বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস করোনা ভাইরাসের উৎপত্তির ওপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও চীনের যৌথ একটি তদন্ত প্রতিবেদনের খসড়া হাতে পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ল্যাব থেকে নয় বরং ভাইরাসটি বাদুড় থেকেই মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। গবেষনায় এই ফলাফল মোটামুটি প্রত্যাশিতই ছিল। তবে অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা রয়ে গেছে। ল্যাব থেকে ভাইরাসটি ছড়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে আরো গবেষণার প্রস্তাব দিয়েছেন ডব্লিউএইচও এবং চীনা বিজ্ঞানীদের দল।

ভাইরাসটির উৎপত্তির সম্ভাব্য চারটি ক্রম সাজিয়েছেন গবেষকরা। তালিকার প্রথমে রয়েছে ভাইরাসটি বাদুড় থেকে দ্বিতীয় আরেকটি প্রাণীর মাধ্যমে মানব শরীরে সংক্রমিত হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, বাদুড় থেকে সরাসরি মানব শরীরে এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটা সম্ভব। তবে কোল্ড চেইন খাদ্য পণ্যের মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তারের সম্ভাবনা থাকলেও এমনটি হয়নি।

বাদুড় করোনাভাইরাসের বাহক হিসেবে বিবেচিত। কারন কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসটির কাছাকাছি গোত্রীয় একটি ভাইরাস বাদুড়ের শরীরে পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বাদুড় ভাইরাস এবং সার্স-কোভ-২ এর মধ্যে বিবর্তনীয় দূরত্ব রয়েছে, যা কয়েক দশক ধরে বিদ্যমান বলে ধারণা করা হয়। তবে এর মধ্যে সংযোগকারী অনুপস্থিত।

চীনের উহান শহর থেকে মহামারির আকার নেওয়া ভাইরিাসটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে তেমন কোন প্রমান পায়নি। বেশিভাগ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করে থাকেন, ভাইরাসটি উহানের একটি বণ্যপ্রাণী বিক্রির হাট থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

নানা সমালোচনার পর ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি দলকে চীনে তদন্ত চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। দলটি চীনের উহান শহর ছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় বারবার পিছিয়ে দেওয়া হয়।

সোমবার (২৯ মার্চ) ডব্লিউএইচওর সদস্যভুক্ত জেনেভাভিত্তিক কূটনীতিকের কাছ থেকে প্রতিবেদনের প্রায় চূড়ান্ত সংস্করণটি পায় বার্তাসংস্থা এপি। তবে এতে পরিবর্তন আনা হবে নাকি এটিই প্রকাশ করা হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়।