বাংলাদেশকে নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আমরা মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। দারিদ্র্যের হার মাত্র ২১ ভাগে কমিয়ে এনেছি। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আজকের বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের যাত্রা আরও অনেক দূর যেতে হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে রবিবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী তার এই ইচ্ছার কথা জানান। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন তিনি।

[caption id="attachment_274554" align="aligncenter" width="687"] রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত[/caption]

দলের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন, দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে আদর্শ ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আজকে সেই আদর্শ নিয়েই আমরা কাজ করছি। যার কারণে বাংলাদেশে আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এটা কোনও ম্যাজিক নয়। এটা হচ্ছে দেশ প্রেম। দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা ভেবেছিল পাকিস্তানিরা আবার এ দেশে আসবে। কিন্তু বাঙালিকে তারা চেনেনি। ৭ ই মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। আসলেই বাঙালিকে কেউ দাবায় রাখতে পারেনি।