×

আন্তর্জাতিক

রক্তাক্ত দিনের পর মিয়ানমার জুড়ে শোক, যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২১, ০৪:১৩ পিএম

মিয়ানমারে শনিবার সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ ১১৪ জন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, বার্মার জান্তা সরকার দেখিয়েছে যে, তারা গুটিকয়েক ব্যক্তির জন্য মানুষের জীবন কেড়ে নেবে। কিন্তু বার্মার সাহসী মানুষ সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবাদের রাজত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছে। রবিবার (২৮ মার্চ) বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানরা সামরিক বাহিনীর সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছে। গত মাসের সামরিক দখলের পর শনিবার ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ দিন।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে শনিবার মিয়ানমারে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে যেখানে বলা হয়েছে, পেশাদার সামরিক বাহিনী তাদের আচরণ দিয়ে আন্তর্জাতিক মান ক্ষুন্ন করছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এই সহিংসতায় গভীরভাবে মর্মাহত এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রাব এটিকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন।

মিয়ানমারে ইইউ প্রতিনিধি দল বলেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে সশস্ত্র বাহিনী দিবস সন্ত্রাস এবং অসম্মানের দিন হিসেবে খোদাই করা থাকবে। শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযান চালানো হয় যখন বিক্ষোভকারীরা সতর্কতা অমান্য করে এবং শহর এবং শহরের রাস্তায় নেমে আসে।

অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপি) মনিটরিং গ্রুপ অন্তত ৯১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সংবাদ সাইট মায়ানমারে এখন মৃতের সংখ্যা ১১৪ জনে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে যে তারা অসংখ্য নিহত এবং শত শত আহত হওয়ার সংবাদ পাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা থু ইয়া জাও কেন্দ্রীয় শহর মিঙ্গিয়ান বলেছেন, তারা আমাদের পাখি বা মুরগির মত হত্যা করছে, এমনকি আমাদের বাড়িতেও, শহরে যাই হোক আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।

সাম্প্রতিক সহিংসতায় পহেলা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App