×

সারাদেশ

বঙ্গোপসাগরে নৌ পুলিশের অভিযান, আটক ৫ জলদস্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২১, ০৬:৫৭ পিএম

বঙ্গোপসাগরে নৌ পুলিশের অভিযান, আটক ৫ জলদস্যু

আটককৃত জলদস্যুরা

গত ২৪ মার্চ এফবি মুসা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতি করার পর মুক্তিপনের অভিযোগে মহিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন ট্রলার মালিক হারুন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে রোববার (২৮ মার্চ) ভোরে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতি হওয়া ট্রলার এবং জালাল বাহিনীর প্রধান জালালসহ ৫ জলদস্যুকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ অভিযানে সহযোগিতা করে মহিপুর থানা পুলিশ। এ সময় জলদস্যুদের কাছ থেকে ২ টি রামদা, ১ টি বল্লম, ৫ টি লোহার রড ও ৫টি লাঠিসহ ১টি মাছ ধরা ট্রলার জব্দ করা হয়। আটককৃত জলদস্যুরা হলেন, কুয়াকাটা পশ্চিম খাজুরা গ্রামের জালাল (প্রধান), কক্সবাজার জেলার মহেষখালীর তালেব আলী (২৭), লক্ষীপুরের আবদুল কাদের (২৬), পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার  রাসেল (২৭) ও রুহুল আমিন (৩৫) । এ ঘটনায় ট্রলার মালিক হারুন মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। তিনি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা। কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এ এসআই কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার জলদস্যু জালাল সহ তার সঙ্গীরা একটি কাকঁড়া ধরার ইঞ্জিন চালিত নৌঁকা নিয়ে গভীর রাতে এফবি মুসা নামের মাছ ধরার ট্রলারে হামলা চালায়। ওই ট্রলারে থাকা ৬  জেলেদের মারধর করে অন্য মাছ ধরার ট্রলারে তুলে দেওয়া হয়। এরপর জলদস্যূরা ট্রলার মালিকসহ আড়দদারের কাছে মুক্তিপন দাবী করে আসছিল। কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী বলেন, ট্রলার মালিকের সাধারন ডায়েরীর সুত্র ধরে প্রযুক্তির ব্যবহার করে চারদিন আগে ডাকাতি হওয়া ট্রলার ও জলদস্যুদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় রোববার বিকেলে ট্রলার মালিক হারুন একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছে।  আটককৃত ৫ জলদস্যুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জান।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App