করোনা পরীক্ষা করাতে মানুষের লাইন বাড়ছে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২১, ০২:০৩ পিএম
রবিবার (২৮ মার্চ) সকালে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে আসা মানুষেরা ভিড় করছে। ছবি: ভোরের কাগজ
রবিবার আনসার একাডেমির ৪০ জন সদস্য রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ছবি: ভোরের কাগজ।
কয়েক সপ্তাহ আগেও হাসপাতালটিতে এরকম মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়নি। ছবি: ভোরের কাগজ
দেশে গত ২ মার্চ করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১৫ জন। হুহু করে এই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২৭ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৬৪৭ জন। অথচ চলতি বছর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫০০ দেখাও বিরল ছিল।
শুধু যে করোনা রোগীর সংখ্যাই বাড়ছে তা নয়। বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৭ মার্চ করোনায় ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; যা সাড়ে তিন মাসে সর্বোচ্চ। অথচ এই মার্চের তিন তারিখে করোনায় মৃত্যু পাঁচজনের হয়েছিল। মার্চের প্রান্তে এসে মৃত্যুর এই সংখ্যা যেমন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তেমন বাড়াচ্ছে সচেতনতা।
সম্প্রতি সময়ে করোনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীর সংখ্যা রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালে বাড়ছে। রবিবার (২৮ মার্চ) সকালে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে আসা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই-তিন সপ্তাহ আগেও করোনা পরীক্ষা করাতে আসা ব্যক্তির ৫ থেকে ১০ জনের লাইন চোখে পড়তো। কিন্তু এখন শতশত মানুষের লাইন দেখা যাচ্ছে।
[caption id="attachment_274528" align="alignnone" width="1280"] রবিবার আনসার একাডেমির ৪০ জন সদস্য রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ছবি: ভোরের কাগজ।[/caption]পরীক্ষা করতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করোনা টেস্টের সনদ বাধ্যতামূলক করেছে। এছাড়া বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদেরও করোনা নেগেটিভ সনদ প্রয়োজন। এছাড়া করোনার বিভিন্ন লক্ষণ বুঝে তারা পরীক্ষা করাতে এসেছেন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মুগদা হাসপাতালে করোনা রোগী ছাড়া অন্য কোনো রোগীদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। গত দুএকদিনে হাসপাতালে অসংখ্য করোনার রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে হাসপাতেলে জায়গা দেওয়া যাবে না।
[caption id="attachment_274529" align="alignnone" width="1280"] কয়েক সপ্তাহ আগেও হাসপাতালটিতে এরকম মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়নি। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]অন্যদিকে রাজধানীতে করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ রয়েছে ২৬৭টি। গত কয়েকদিনে নগরীতে আইসিইউ-এর চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। ফলে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার বাংলাদেশ এক বছর পার করেছে। চলতি বছর গত ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৯ মার্চ তা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে যায়।