পঞ্চগড়ে নদী খননের সময় কামানের গোলা উদ্ধার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২১, ০৯:২৫ পিএম
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে ড্রেজার দিয়ে নদী খননের সময় পাওয়া একটি কামানের গোলা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় পৌরসভার নিমনগড় এলাকায় এই গোলাটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কামানের গোলাটির চারপাশ লাল নিশান টানিয়ে দুরত্ব তৈরী করে ঘিরে রাখে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার পৌরসভার নিমনগড় এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে করতোয়া নদী খননের সময় বালি পাথরের সাথে উঠে আসে এই কামানের গোলাটি। এ সময় ওই এলাকার ইজিবাইক মো. খোকন ড্রেজার মেশিনের পাইপের মুখে জিআই তারের নেট লাগিয়ে পাথর সংগ্রহ করছিলেন। পরে তিনি লোহা সদৃশ্য বস্তু মনে করে বাড়িতে নিয়ে যান গোলাটি। গত ৯ দিন ধরে তার বাড়িতেই সংগৃহিত ছিলো সেটি। পরে শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে পানি দিয়ে ধুঁয়ে পরিষ্কার করার সময় আঘাত পেয়ে ওই গোলা থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এ সময় ওই ব্যক্তি দ্রুত গোলাটি বাড়ির পাশের ফাঁকা স্থানে রেখে আসে। গোলাটি থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্রায় ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির গোলাটির গায়ে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে এলএওয়াই-২-১-৪৫।
এদিকে পাক ভারত যুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময় এই গোলা ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। গোলাটি থেকে হঠাৎ হঠাৎ করে ধোঁয়া হচ্ছে। এতে ওই স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে স্থানীয়দের নিরাপদ দূরত্বে থাকার অনুরোধ করেছেন পুলিশ।
পঞ্চগড় পৌর এলাকার ইজিবাইক চালক মো খোকন জানান, গত বৃহস্পতিবারে করতোয়া নদীতে ড্রেজার দিয়ে নদী খননের সময় ড্রেজারের পাইপ দিয়ে পাথর বালির সাথে লোহা সদৃশ একটি বস্তু উঠে আসে। পরে আমি সেটিকে বাসায় নিয়ে যাই। শনিবার সন্ধ্যার দিকে সেটিকে ধুঁয়ে পরিস্কার করার সময় আচকমা ধোঁয়া বের হতে থাকলে আমি ভয় পেয়ে সেটিকে বাড়ির বাইরে ফাঁকা স্থানে রেখে আসি। পরে পঞ্চগড় সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাল নিশান দিয়ে স্থানটি ঘিরে রাখে।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বলেন, গত বৃহস্পতিবারে নদী খননের সময় গোলা সদৃশ বস্তুটি মো খোকন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি সেটিকে পায়। পরে শনিবার সেটিকে ধুয়ে পরিস্কার সময় হঠাৎ ধোঁয়া উঠতে থাকায় নদীর সড়কের পাশের ফাঁকা স্থানে রেখে আসে। এখনো সেখান থেকে ধোয়া উঠছে। আমরা স্থানটির চারপাশে লাল কাপড় টানিয়ে দিয়েছি যেন মানুষ কাছে না যায়। এছাড়া রংপুর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে বস্তুটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবে। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ তারাই গ্রহণ করবেন।