×

রাজধানী

টিয়ার শেল ও জলকামান দিয়ে হেফাজতের অবরোধমুক্ত যাত্রাবাড়ী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২১, ০১:২৯ এএম

দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর অবশেষে অবরোধমুক্ত হয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়ক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররমের পর যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকার বড় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা শুক্রবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মূল সড়ক অবরোধ করে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ যাত্রাবাড়ীর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলা হলেও রাত ৯টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ও সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

এ বিষয়ে ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইফতেখার শাহ আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে কুতুবখালী বড় মাদ্রাসা ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করে। তাদের সঙ্গে জামায়াত ও বিএনপি নেতারাও যোগ দেয়। এ সময়ে সড়কে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

তাদেরকে অনেক বুঝিয়েও সরানো যায়নি। পরে আমরা বাধ্য হয়ে বল প্রয়োগ করতে। এ সময় তারা পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হয়। আমাদের ২০ জনের বেশি পুলিশ এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে। আমি নিজেও ব্যথা পেয়েছি। অনেকের হাড় ভাঙ্গার মত ঘটনা ঘটেছ। তাদেরকে পঙ্গু হাসপাতালসহ অন্যান্য জায়গায় পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। পরে সাড়ে ১ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

তিনি আরও জানান, এখন পরিস্থিতি ও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, যাত্রাবাড়ীর ঘটনায় শটগানের গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন গুলিবিদ্ধ আবু বক্কর (২২), সাব্বির রহমান (২২), আবু তৈয়ব (২২), শাহিন (১৯), মকবুল (৩৫) ও নুরুল্লাহ (২২) এবং মারধরে আহত যুবলীগ সদস্য সজিব (৩২) ও মামুন (৩২)।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তাদেরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের ৬ জনের শরীরে শটগানের গুলি রয়েছে। তবে কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।

এ বিষয়ে ডিসি ইফতেখার শাহ আহমেদ বলেন, গুলিবিদ্ধ কিনা তা জানা নেই তবে দুপক্ষেরই কিছু লোক আহত হয়েছে। তারা আমাদের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে পরে পুলিশ টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পুলিশ এখন কুতুবখালী মাদরাসার সড়কটি ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। যাতে কেউ মাদরাসা থেকে বের হয়ে ফের সড়ক অবরোধ করতে না পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App