×

মুক্তচিন্তা

এসডিজি বাস্তবায়নে এনজিও কার্যক্রমের ভূমিকা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২১, ১২:৩০ এএম

এসডিজি বাস্তবায়নে এনজিও কার্যক্রমের ভূমিকা

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। এই ৫০ বছরে আমাদের অর্জন খুব কম নয়। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়, জাতীয় বাজেটের আকার ও গড়পড়তা আয়ু বেড়ে চলেছে। ১৯৭০ সালে স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল শুধু ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালে তা দাঁড়ায় ২৭৫ মিলিয়ন ডলার। ৪৯ বছরে তা বৃদ্ধি পায় ৩০ গুণ। ১৯৭০ সালে মাথাপিছু গড় আয় ছিল ১৮০ ডলার, ২০১৮-১৯-এ বৃদ্ধি পায় ১৯০৯ ডলার এবং ২০২০-এ তা ২০৬৪-এ উন্নীত হয়। ১৯৭২-৭৩ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭৫ গুণ বেশি। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে বাজেট হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৫০ বছরের অগ্রগতি উল্লেখ করার মতো। যেমন সার্বিক সাধারণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য তথা শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু, গড় আয়ু, ইপিআই, নারীর ক্ষমতায়ন, জন্ম ও মৃত্যুহার হ্রাস ইত্যাদিতে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করা যায়। আজকের ক্রম অগ্রসরমান বাংলাদেশে এই ধারাবাহিক অর্জনের পেছনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর অবদানও অনেক। সামাজিক উন্নয়ন খাত ছাড়াও বিশেষ করে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাস, প্রান্তিক মানুষের নিকট মৌলিক সেবাগুলো পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এবং নারীর অগ্রগতিতে এনজিওদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পরবর্তীতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় যে পরিবর্তন আসবে সেসব সমস্যার স্বরূপ ও মাত্রানুযায়ী এনজিও সংস্থাগুলো সরকারের কার্যকর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে যাবে। দ্রুত নগরায়ণ, যুগোপযোগী মানসম্মত শিক্ষার প্রসার, সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন, যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য, মানবাধিকার ও জেন্ডার সমতা ইত্যাদিসহ অনেক সমস্যা থেকে যাবে। উপরোক্ত সমস্যার সমাধানে সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে তাদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে। ২০০০ সালে শুরু হওয়া ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এমডিজি অর্জনের সময় শেষ হয় ২০১৫ সালে। এরপর জাতিসংঘ ২০১৫ সালে (২০১৬-৩০) মেয়াদে দারিদ্র্য বিমোচন, বিশ্ব পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা এবং একটি নতুন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের এজেন্ডা হিসেবে সবার জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে ১৭টি লক্ষ্য ও ১৬৯টি সহায়ক লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করে। যা ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এসডিজি নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, এসডিজি বা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল, এমডিজি বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকেই প্রতিস্থাপিত করেছে। আমাদের উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে চলমান রাখতে সব শ্রেণির মানুষকে মূল ধারার বিকাশে অন্তর্ভুক্ত করা এসডিজির গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাশা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা হলো : এসডিজি-১ দারিদ্র্য নিরসন (সব পর্যায়ে সব ধরনের দারিদ্র্যের অবসান)। এসডিজি-২ ক্ষুধা মুক্তি ( ক্ষুধা মুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নততর পুষ্টিমান অর্জন এবং স্থায়িত্বশীল কৃষি সম্প্রসারণ)। এসডিজি-৩ সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (সব বয়সি, সব মানুষের সুস্থ জীবন ও সচ্ছলতা নিশ্চিতকরণ)। এসডিজি-৪ মানসম্পন্ন শিক্ষা (ন্যায়ভিত্তিক ও সমন্বিত সমমানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সবার জন্য জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ তৈরি)। এসডিজি-৫ নারী-পুরুষের সমতা (নারী-পুরুষের সমতা অর্জন ও সব মেয়েশিশুর ক্ষমতায়ন)। এসডিজি-৬ নিরাপদ পানি ও পয়ঃব্যবস্থা (সবার জন্য পানি ও পয়ঃব্যবস্থার প্রাপ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ)। এসডিজি-৭ সবার জন্য সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি (মূল্যসাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি-শক্তিতে সবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ) এসডিজি-৮ মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধি (সবার জন্য সমন্বিত ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সার্বিক ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং সম্মানজনক কাজের সুযোগ তৈরি)। এসডিজি-৯ শিল্প, অবকাঠামো ও উদ্ভাবন (টেকসই অবকাঠামো বিনির্মাণ, সমন্বিত ও টেকসই শিল্পায়ন উন্নীতকরণ এবং নতুন উদ্ভাবন উৎসাহিতকরণ)। এসডিজি-১০ অসমতা হ্রাস (অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃদেশীয় অসমতা হ্রাস)। এসডিজি-১১ নিরাপদ শহর ও জনবসতি (শহর ও জনবসতিকে সমন্বিত উপায়ে নিরাপদ ও স্থায়িত্বশীল করা)। এসডিজি-১২ দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন (দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ)। এসডিজি-১৩ জলবায়ু (জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ)। এসডিজি-১৪ জলজ সম্পদ সংরক্ষণ (স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য মহাসমুদ্র, সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও পরিবেশবান্ধব ব্যবহার)। এসডিজি-১৫ বাস্তুতন্ত্র ও প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষা (স্থলজ বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষা, পুনঃস্থাপন ও এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, পরিবেশবান্ধব বন ব্যবস্থাপনা, মরুকরণ প্রতিরোধ এবং ভূমি ক্ষয় ও রহিতকরণ প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষা)। এসডিজি-১৬ শান্তি, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা (স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও সমন্বিত সমাজ তৈরি, সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং সকল পর্যায়ে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও সমন্বিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বিনির্মাণ)। এসডিজি-১৭ উন্নয়ন ও অংশীদারিত্ব (স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব পুনঃসক্রিয়করণ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম প্রক্রিয়া জোরদারকরণ)। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন্স নেটওয়ার্কের এসডিজি সূচক এবং ড্যাশ বোর্ডস রিপোর্ট ২০১৮ অনুযায়ী, ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১তম। সবদিক মিলে বাংলাদেশের স্কোর ৫৯ দশমিক ৩। ২০১৭ সালে এর অবস্থান ও স্কোর ছিল যথাক্রমে ১২০ ও ৫৬ দশমিক ২। শুধু ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বাদে দক্ষিণ এশিয়ার নেপাল, ভুটান র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট এর পর্যালোচনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ এমডিজির ৮টি লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে পূরণ করলেও এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৮টিতেই বাংলাদেশ এখনো ব্যাপকভাবে সফল হতে পারেনি। বর্তমানে বাংলাদেশ যে ৮টি টেকসই লক্ষ্যমাত্রায় প্রত্যাশার তুলনায় পিছিয়ে আছে, সেগুলো হলো এসডিজি-২ খাদ্য নিরাপত্তা পুষ্টির উন্নয়ন ও কৃষির টেকসই উন্নয়ন এসডিজি-৩ সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এসডিজি-৭ সবার জন্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সহজলভ্য করা এসডিজি-৯ স্থিতিশীল উন্নয়ন ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এসডিজি-১১ মানব বসতি ও শহরগুলোকে নিরাপদ ও স্থিতিশীল রাখা এসডিজি-১৪ টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ ও পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করা এসডিজি-১৬ শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক সমাজ, সবার জন্য ন্যায়বিচার, সব স্তরে কার্যকর জবাবাদিহি ও অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এসডিজি-১৭ টেকসই উন্নয়নের জন্য এসব বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের স্থিতিশীলতা আনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সফলতাকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পৌঁছোতে দরিদ্র মানুষের টেকসই দারিদ্র্য বিমোচন এবং তৎপরবর্তী আর্থ-সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি তথা সামগ্রিক উন্নয়ন আবশ্যক। সরকার ও এনজিওগুলো সমন্বিত উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সমাজের কাউকে পেছনে ফেলে না রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ উন্নয়নে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এনজিওগুলো তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের পরিচালিত সমিতি বা গ্রুপে প্রতিবন্ধী, নৃতাত্ত্বিক, প্রবীণ, তৃতীয় লিঙ্গ, জেলে, হরিজন, তাঁতি, কামার, কুমার, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে উল্লিখিত জনগোষ্ঠীর টেকসই জীবিকায়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে প্রকৃত চাহিদাভিত্তিক সমন্বিত প্রকৃত চাহিদাভিত্তিক সমন্বিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারে। এই কর্মসূচিতে উপরোক্ত ব্যক্তিদের জন্য বাধামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি সমন্বিত উন্নয়ন উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে যাতে দেশের সব অঞ্চলের (সমতল, পাহাড়, চর, হাওর, উপকূলীয় ও দ্বীপাঞ্চল) ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। সংশ্লিষ্ট লক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য এসব অঞ্চলের উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকারের ওপর প্রয়োজনীয় তথ্য ও যথাযথ দক্ষতা প্রদান, বাজার ও ব্যবসা উন্নয়ন কৌশল, বিভিন্ন ধরনের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি উপকরণ প্রদান, প্রযোজ্য কারিগরি দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালন প্রশিক্ষণ, গরু-ছাগল পালন, কৃষিভিত্তিক কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা হবে। প্রশিক্ষণের পর স্বল্প সার্ভিস চার্জে ঋণ সুবিধা নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী করে তুলতে পারে। যাতে তারা নিজেরা স্বনির্ভর হয়ে আর্থিক উন্নয়ন করতে পারে এবং সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে লক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সেবা আদায়ে সংগঠিত ও সক্রিয় করে তুলতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা লক্ষিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, দৈনন্দিন জীবনে সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সমাজে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী থেকেই টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বা রূপকল্প ২০৪১-এর সঠিক বাস্তবায়নে ও সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিওসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নবান্ধব কার্যক্রম বাস্তবায়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্নের অনুসারী হিসেবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে তার স্বপ্ন-চিন্তাকে সর্বজনের সাথী করা। সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকল্পনায়, জননীতিতে এর সুস্পষ্ট ও কার্যকরী প্রতিফলন থাকতে হবে। কেননা ধনী ও দরিদ্র শ্রেণির অর্থনীতি, সমাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি যেভাবে দুদিকে এগিয়ে চলেছে তাতে শুধু বৈষম্য বাড়ছে। দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য বহুমাত্রিক ও সমন্বিত কর্মসূচি আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যে অভিযাত্রা শুরু হবে তা এনজিওগুলোর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ সম্ভব হবে।

মো. আরিফুর রহমান : গবেষক ও উন্নয়ন সংগঠক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App