স্মৃতিসৌধে অর্জুন চারা রোপন করলেন মোদী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২১, ০১:৩৭ পিএম
সাভার স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযদ্ধের শহীদদের স্মরণে একটি অর্জুন চারা রোপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিএমও ইন্ডয়া টুইটার
সাভার স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযদ্ধের শহীদদের স্মরণে একটি অর্জুন চারা রোপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিএমও ইন্ডয়া টুইটার
সাভার স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখানে একটি অর্জুন গাছের চারা রোপন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চারারোপনের এ ছবি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টুইটার পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।
At Savar, PM @narendramodi planted an Arjuna Tree sapling. This sapling has been planted as a mark of respect for the valorous martyrs of Bangladesh. pic.twitter.com/lknP2ZllDP
— PMO India (@PMOIndia) March 26, 2021
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদী। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেওয়া হয় লালগালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নরেন্দ্র মোদীকে বহনকারী মোটরবহর তেজগাঁও হেলিপ্যাডে যান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে সাভার স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভিজিটর বইয়ে স্বাক্ষর ও গাছের চারা রোপণ করেন।
স্মৃতিসৌধ থেকে হেলিকপ্টারে ফিরে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে যান। সেখানে তিনি জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানেও তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখান থেকে তিনি হোটেলে যান এবং পরে বিকেল তিনটায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন তার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
এ বৈঠকের পর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
রাতে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী।
আগামীকাল তার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশেশ্বরী মন্দির ও টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল ও ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে যাওয়ার কর্মসূচি আছে।
বাংলাদেশে এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় সফর। গত বছরের মার্চ মাসে মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাঁর আসার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে স্থগিত হয় সেই সফর। নতুন বাস্তবতায় এক বছর পর করোনা মহামারির মধ্যেই ঢাকা সফরে এলেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে মোদির এ সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
বাংলাদেশ সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত নরেন্দ্র মোদি গত রাতে দুই দফা টুইট বার্তা দিয়েছেন। একটি বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ স্মরণ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, এর পাশাপাশি আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের অপেক্ষায় আছি। করোনা ভাইরাস মহামারির আক্রমণের পর প্রথমবারের মতো বন্ধুদেশে সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত, যে দেশটির সংস্কৃতি, ভাষা ও মানুষের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি আরো লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারি আমাদের ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতির গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। আর আমরা একে গভীর ও বৈচিত্র্যময় করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন যাত্রাকে আমরা সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখব।’
নরেন্দ্র মোদীর ঢাকায় আসার কর্মসূচির প্রতিবাদে গত কয়েকদিন বিক্ষোভ করেছে নানা সংগঠন। তার সফরকে কেন্দ্র ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।