×

সাহিত্য

শিশুশূন্য শিশুপ্রহর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২১, ০৫:৫০ পিএম

শিশুশূন্য শিশুপ্রহর

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বইমেলায় শিশুদের আনাগোনা নেই বেলা যায়। ছবি: মাসুদ পারভেজ আনিস

অমর একুশে বইমেলায় ছুটির দিনগুলোতে সাধারণত পাঠক আর বইপ্রেমীদের ঢল নামে। স্টলে স্টলে থাকে উপচে পড়া ভিড়। সে কারণে বিকেলের পরিবর্তে বেলা ১১টা থেকে মেলার দুয়ার খুলে দেয়া হয়। শিশু-কিশোদের জন্য বিশেষভাবে সাজানো শিশু চত্বর থাকে। সেখানে শিশুদের জন্য রাখা হয় শিশুপ্রহর। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে করোনাকালীন বইমেলায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। অনেকটাই শিশু শুন্য শিশু চত্বর।

তবে মহান স্বাধীনতা দিবস তথা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনটি ঘিরে মেলার আয়োজক ও প্রকাশকদের যে বাড়তি প্রত্যাশা ছিল তেমনটা দেখা যায়নি শুক্রবার। মেলার নবম দিনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রথম প্রহরে মেলা চত্বর আগের মতোই অনেকটা ফাঁকা। শিশুপ্রহরে শিশুদের ‍উপচে পড়া ভিড়ও নেই। দু একজন অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে এসেছেন। পছন্দের বই দেখে বা কিনে দ্রুত মেলা ত্যাগ করছেন। শিশু চত্বরে আগের মতো নেই কোনো কলকাকলি বা উৎসব মুখরতা।

সন্তানদের নিয়ে রাজধানীর লালবাগ থেকে আসা অভিভাবক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম দিপু জানালেন , বাচ্চাদের আসতেই দেবেন না। কিন্তু বাচ্চারা ডিটারমাইন্ড মেলায় আসবেই। ভেতরে শঙ্কা নিয়ে ওদের পছন্দের বই খুজতেই মেলায় আসা। কয়েকটি স্টলে গিয়ে কিছু বই কিনেছি। দেখা যাক আবারো আসা হবে।

কেন মেলায় শিশুদের উপস্থিতি কম এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এক অভিভাবক বলেন, এমনিতেই করোনার ভয়, তার মধ্যে রোদের তাপটা বেশি সেজন্য মেলায় আসা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। শীতের মধ্যে মেলার আয়োজন হলে এ সমস্যা থাকে না।

জানতে চাইলে লাবনী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী লাবনী হোসাইন জানান, ২৬ বছর ধরে মেলায় অংশগ্রহণ করেছি এবার এই প্রথম শিশুদের এমন নগণ্য উপস্থিতি। তার উপর সিসিমপুর নানা ধরনের পারফরম্যান্স এর আয়োজন করে। এবার সিসিমপুরই চালু হয়নি। ফলে শিশুরা দুই একজন আসলেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দূরে দূরে ঘুরছে। তাছাড়া এবার শিশুদের জন্য আলাদা করে কোনো গেটও করা হয়নি যে কারণে শিশুরা বুঝতেই পারছেনা কোন দিকে তাদের স্টল। আমি হতাশ। মনে হচ্ছে দৈনিক যে খরচটা হচ্ছে তাও উঠে আসবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App