×

সারাদেশ

সরিষাবাড়ীতে অবেহেলিত গণকবর ও যুদ্ধে নিহতদের স্মৃতিচিহ্ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২১, ০৬:১৭ পিএম

সরিষাবাড়ীতে অবেহেলিত গণকবর ও যুদ্ধে নিহতদের স্মৃতিচিহ্ন

অবেহেলিত যুদ্ধে নিহতদের স্মৃতিচিহ্ন

সরিষাবাড়ীতে অবেহেলিত গণকবর ও যুদ্ধে নিহতদের স্মৃতিচিহ্ন

অযত্ন অবহেলায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কান্দারপাড়া এলাকায় প্রতিরোধ যুদ্ধে নিহত শহীদ বেলাল হোসেনের স্মৃতিচিহ্ন। এখন আর কেউ যায় না শ্রদ্ধা জানাতে। শহীদ মিনারের সেই দেয়ালটি ভেঙ্গে ছোট্ট ও সরু তিনটি পিলার করা হয়েছে, যা একটু দূর থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই যে এটি একটি শহীদ মিনার।

মিনারটি থেকে মাত্র ৪/৫ ফুট পূর্ব পাশে একটি পাঁকা মসজিদ, উত্তরে হাফিজিয়া মাদ্রাসা, দক্ষিণে টয়লেট ও প্রসাবখানা করা হয়েছে। পশ্চিম দিকে রেলওয়ের জমিতে করা হয়েছে পুকুর। যে কোন সময়ই পশ্চিম দিকে হেলে পড়ে পুকুরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে স্মৃতিচিহ্নটি। এমন পরিস্থিতিতে ছোট্ট হলেও একটি "শহীদ বেলাল স্মৃতি যাদুঘর" নির্মাণ ছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও ইতিহাস রক্ষা করা সম্ভব হবেনা বলে মনে করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

অন্যদিকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অসংখ্য স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে অঞ্চলটিতে। উপজেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সে সময়ে নির্মমভাবে নিহত শহীদদের স্মৃতি ও গণকবর। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ গণকবর গুলোর চিহ্নিত এখন আর নেই।

সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ এই চিহ্নগুলো চলে গেছে দৃষ্টিসীমার বাইরে। ওই সব স্থান এখন ঘাস, লতাগুল্মতে পরিপূর্ণ। অনেক স্থান পরিণত হয়েছে গো-চারণ ভূমিতে। যেন দেখার কেউ নেই। বর্তমান সরকারের আমলে বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি কিছু স্থানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হলেও যথাযথভাবে দেখাশোনার অভাবে তা অযত্ন অবহেলায় রয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বারইপটল, ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া, পোষ্ট অফিস মোড়ের দক্ষিন পাশে ও সরিষাবাড়ী হাসপাতালে গণকবর রয়েছে।

বর্তমান সরিষাবাড়ী হাসপাতাল ছিলো তৎকালীন সময়ে রাজাকারদের ক্যাম্প বা আস্তানা। সেখানে প্রতিদিন মুক্তিবাহিনী ও অসংখ্য সাধারণ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন করে রাতে হত্যা করা হতো। হত্যার পর লাশ সামনের সূবর্ণখালী নদীতে ফেলে দিতো। সেখানেও নির্মিত হয়নি কোন মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের একটাই দাবি, সরকারিভাবে শুধু চিহ্নিত, স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করাই নয়, এগুলোকে আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরার ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই আগামী তরুণ প্রজন্ম এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিজয় ও দেশপ্রেমী মানুষের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App