×

জাতীয়

বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে শুক্রবার ঢাকা আসছেন মোদী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২১, ০১:১৪ পিএম

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আগামী কাল ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা শুরু হওয়ার পর মোদীর এটাই প্রথম বিদেশ সফর।

বাংলাদেশে এসে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দি, টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিস্থল এবং সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দিরে যাবেন তিনি। সর্বশেষ ৫ বছর আগে ২০১৫ সালে মোদী বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের মার্চ মাসে মুজিববর্ষের উদ্বোধনে মোদী আসার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেই সফর বাতিল করে চলতি বছরের ২৬ ও ২৭ মার্চ সূচি ঠিক করা হয়। এর ফাঁকে অবশ্য গত ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে।

এই সফরে আগামী ২৭ মার্চ মোদী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এর আগে ২৬ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি বক্তব্য দেবেন তিনি। দুই নেতার উপস্থিতিতে এদিন যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।

মোদির এই সফর নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব প্রতিফলিত হবে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বেশ কিছু সমঝোতা হবে। তবে এই সফরে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থাকবে মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন।

কোনো চুক্তি হবে কি না জানতে চাইলে শ্রিংলা বলেন, সম্ভাব্য চুক্তি ও সমঝোতাগুলোও গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু সফরের মূল বিষয় হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং মুজিববর্ষ। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতীয়রাও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি দেশ স্বাধীন করতে প্রতিবেশী দুই দেশের একসঙ্গে হয়ে রক্তদান ও আত্মত্যাগ বিরল।

এদিকে বুধবার বাংলাদেশ ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যে সংবাদ সম্মেলন করেন তাতে মোদীর সফর নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। তবে আসন্ন মোদীর সফরে কয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি। চুক্তি এবং সমঝোতা নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

মোদীর এই সফরে ছয়টি অভিন্ন নদীর বিষয়ে কোনো সুখবর আসবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, উনি মূলত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন। তবে বড় বড় বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আমরা ছয়টা বড় বড় নদী নিয়ে আলোচনা করেছি। সম্প্রতি পানি সচিবরা বৈঠক করেছেন। তারা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি। কিন্তু এটা নিয়ে এখনও কাজ চলছে। দেনদরবার এখনও শেষ হয়নি, চলছে। সবমিলিয়ে এই সফরে তিস্তা কিংবা অভিন্ন ছয় নদীর পানিবন্টন চুক্তি হচ্ছে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App