×

সাহিত্য

প্যাভিলিয়নের চাপে কোণঠাসা ছোট স্টল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২১, ০৬:৫৫ পিএম

প্যাভিলিয়নের চাপে কোণঠাসা ছোট স্টল

বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর মেলায় কিছুটা প্রভাব পড়ে

সুপরিসর বইমেলা চত্বরের মাঝামাঝি নান্দনিক সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশাল বিশাল প্যাভিলিয়ন। নানা কারুকাজ, সাজসজ্জা আর বঙ্গবন্ধুসহ জনপ্রিয় লেখকদের বড় বড় ছবিতে দৃষ্টি কাড়ছে সবার। এসব প্যাভিলিয়নে পাঠক-বইপ্রেমী আর ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। প্রকাশক আর বিক্রয়কর্মীরাও দারুণ ব্যস্ত। তবে মেলা চত্বরে সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি বইয়ের বেচাবিক্রিতে সুখবর দিলেও ছোট স্টলগুলোর কাছে তা দুঃসংবাদই বটে। কেননা, গোটা মেলা চত্বরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে এসব প্যাভিলিয়ন। যেখানে ক্রেতা বা পাঠকের ভিড় সবচেয়ে বেশি।

অথচ মেলার স্টলবিন্যাসে ডাবল বা সিঙ্গেলগুলো স্থান পেয়েছে দূরে দূরে। যেখানে পাঠক বা ক্রেতাদের কোনো পা-ই পড়ছে না। এতে হতাশা দেখা দিয়েছে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র প্রকাশকদের মধ্যে।

অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এমনিতেই করোনাকালীন মেলায় বেচাবিক্রি নিয়ে আমরা শঙ্কিত, তার ওপর যেভাবে স্টল বিন্যাস করা হয়েছে তাতে তেলা মাথায় বেশি তেল দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। বড় প্রকাশকের কাছে ছোটরা টিকতেই পারছে না।

চট্টগ্ৰাম থেকে আসা আবীর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মুহাম্মদ নুরুল আফসার বললেন, মেলার রমনা অংশে যে প্রবেশপথ করা হয়েছে তা নিয়ে প্রচারণা না থাকায় ভিড় তেমন নেই। তাছাড়া উদ্যানের কর্ণার পর্যন্ত যে পরিসর বাড়ানো হয়েছে সেখানে জায়গা হয়েছে ছোট ছোট প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানের। যাদের পাঠক বা ক্রেতাকে খুঁজে খুঁজে আনা ছাড়া কোনো গতি নেই।

মুক্তচিন্তা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সাঈদ বাহাদুর বললেন,  সোহারাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা চত্বরে চোখ রাখলে শুধু প্যাভিলিয়নগুলোই চোখে পড়ে। তাদের এমনভাবে কাছাকাছি স্থান দেয়া হয়েছে এদের বাইরে আর কিছু ভাবার সুযোগ নেই পাঠক বা বইপ্রেমীদের। তাই সেগুলোতে যখন ভিড়ে ঠাসা তখন অন্যস্টলে কোনো পাঠক বা ক্রেতার আনাগোনাই নেই। এটাকে বইমেলা না বলে বিনোদনমেলা বলাই ভালো। বড় বড় প্যাভিলিয়ন ঘিরে সবাই আড্ডা দিচ্ছে। তাদের সামনে বসার জন্য রাখা হয়েছে। আমাদের এদিকে মাছিও উড়ছে না।

আরেক প্রকাশক বললেন, যদি প্যাভিলিয়নগুলো মেলা চত্বরের মাঝখানে না রেখে গোটা চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হতো তাহলে এমন সমস্যা হতো না। বইপ্রেমীরা গোটা মেলার সমস্ত স্টলগুলোই দেখার সুযোগ পেত। স্টল বিন্যাসের ক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন আয়োজকদের।

প্রসঙ্গত, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে গেল। গত ১৮ মার্চ শুরু হয়েছে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৫৪টি স্টল রয়েছে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন রয়েছে ৩৩টি। এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে এসেছে লিটলম্যাগ চত্বর। ১৩৫টি লিটলম্যাগকে ৫টি উন্মুক্তসহ ১৪০ স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App