ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসার প্রতিবাদে রাজশাহী নগরীতে আয়োজিত বাম দলের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাম দলের অন্তত ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। তবে আটকের ঘণ্টাখানেক পর সবাইকে চা পান করিয়ে থানা থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আটকরা হলেন- সি.পি.বি রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, বাসদ রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক আলফাজ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সংগঠক আহমেদ নবীন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক মো. শাহরিয়ার, রাজশাহী মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আরা সুমু, সদস্য ক্যাস্ত্রো সাগর। বাকি আরো কয়েকজেনের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টের প্রেসক্লাব প্রান্তে বাংলাদেশ ওয়ার্কস পার্টির পথসভাকে নিরাপত্তা দিচ্ছিলেন তারা। এ সময় জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে মোদি বিরোধী শ্লোগান দিয়ে মানববন্ধন করতে চায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের কিছু নেতাকর্মী।

তবে মানববন্ধনের অনুমতি ছিল না তাদের। ফলে বাধা দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে শ্লোগান দেয়। এতে পুলিশ তাদের ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইলে তর্কে জড়ায় তারা।

এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হলে পুলিশ পাঁচজন নেতাকর্মীকে আটক করে। বাকিদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সবাইকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ভোরের কাগজকে জানান, কর্মসূচির বিষয়ে আগের অনুমতি না থাকায় একটু ঝামেলা হয়েছিল। তবে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।