×

জাতীয়

ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ভয়েই আত্মহত্যা করে মেয়েটি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২১, ০২:১৩ পিএম

ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ভয়েই আত্মহত্যা করে মেয়েটি

গ্রেপ্তারকৃত হাফিজুর রহমান (২৫)।

ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ভয়েই আত্মহত্যা করে মেয়েটি

দুই বউকে তালাক দেওয়া হাফিজুর রহমান (২৫) মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে প্রেমের জালে ফেলে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানাধীন ১৫ নং লােহানীপাড়া ইউনিয়নের কাচাবাড়ি গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে। এরপর জড়ান অন্তরঙ্গ সম্পর্কে। আর তার দৃশ্যটি ধারণ করেন বন্ধু বিপুল চন্দ্র (২৬)। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। আর ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ভয়েই আত্মহত্যা করে মেয়েটি।

বুধবার (২৪) দুপুরে অশ্লীল ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এসব কথা বলেন সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।

তিনি বলেন, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানাধীন ১৫ নং লােহানীপাড়া ইউনিয়নের কাচাবাড়ি গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী গত ৫ জানুয়ারি বিষপানে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় কোতােয়ালী থানায় (ইউডি) মামলা হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান মেয়েটিকে প্রেমের ফাদে ফেলে ধর্ষণ করে ও তার সহযােগী বিপুল চন্দ্রকে দিয়ে মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করে হাফিজুর রহমান।

ভিডিও টি ভাইরাল হবার আশঙ্কায় মেয়েটি তার ও পরিবারের আত্মমর্যাদাহানীর কথা চিন্তা করে বিষপান করে। মেয়েটিকে বদরগঞ্জ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে নিতে বলেন ও রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, তবে ভিডিওটি  ২২ ফেব্রুয়ারি ওই এলাকায় ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই কিশােরীর বিধবা মা বাড়ি ছাড়ে। তিনি কোথায় গেছেন, প্রতিবেশীরা কেউই তা জানতাে না। বাড়িতে তখন তালা ঝুলছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার দুই ব্যক্তি অভিযােগ করেন, হাফিজুর রহমান মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করায় মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। হাফিজুর রহমানের এলাকার লােকজন বলেন, হাফিজুর দুটি বিয়ে করে দুই স্ত্রীকেই তালাক দিয়েছেন। তাকে তখন বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা ইউনুছ বলেন, তিনি ইউপি নির্বাচন করবে তাই তাহার পরিবারকে ঘায়েল করতেই তার ছেলের নামে অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন।

ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বলেন, অপরাধ সংঘটনের পরই সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাে. হাফিজুর রহমানকে তথ্যাদি যাচাই-বাছাই পূর্বক পর্যালােচনার মাধ্যমে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া এলাকা থেকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে হাফিজুর রহমান। তবে ভিডিওটি ভাইরাল করে বিপুল চন্দ্র। তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাকে আটক করা গেলে আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App