×

চিত্র বিচিত্র

তিন হাজার বছরের স্বর্ণের মাস্ক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২১, ০১:৩৩ পিএম

তিন হাজার বছরের স্বর্ণের মাস্ক

তিন হাজার বছরের স্বর্ণের মাস্ক। ছবি: সিএনএন

তিন হাজার বছরের স্বর্ণের মাস্ক
তিন হাজার বছরের স্বর্ণের মাস্ক
তিন হাজার বছরের স্বর্ণের মাস্ক

করোনা সংক্রমণে পৃথিবীতে নতুনভাবে মাস্ক পরার প্রচলন এসেছে। কিন্তু এই মাস্ক অনেক আগে থেকেই পরার প্রথা ছিলো। প্রায় ৩ হাজার বছর আগের মাস্ক খুঁজে পাওয়া গেছে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা খুঁজে পাওয়া মাস্কটির ৮৪ শতাংশই সোনা। ওজন ২৮০ গ্রাম। এর আগে একই জায়গা থেকে ব্রোঞ্চের মাস্ক পাওয়া যায়। চীনের ন্যাশনাল কালচারাল হেরিটেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, করোনাকালীন সময়েই না, মাস্ক পরার প্রচলন হাজার বছরের। সেই সময় মাস্ক ছিলো ফ্যাশনের একটা অংশ। মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সোনা দিয়ে বানানো এমন মাস্ক পরতেন।

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে খনন করে সোনার মাস্ক ছাড়াও প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ব্রোঞ্জ, সোনার ফয়েল এবং হাতির দাঁত, জেড এবং হাড় থেকে তৈরি শিল্পকর্ম আবিষ্কার করেন। ছয়টি গর্ত আবিষ্কার করেন প্রত্নতত্ত্বাবদেরা। যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ১৯ বর্গ মিটার। এছাড়াও একটি অবিকৃত কাঠের বাক্স পাওয়া গেছে।

এই গর্তগুলো প্রদেশের রাজধানী চেঙ্গদুর বাইরের ৪ স্কয়ার বর্গ মাইল এলাকা সানসিংদুয়িতে খনন করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই জিনিসগুলো প্রাচীন শু রাজ্যের হতে পারে। রাজ্যটি ৩১৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে হান নদীর অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। শিল্পকর্মের জন্য খ্যাতিও ছিল রাজ্যটির। সানসিংদুই শু রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিলো বলে ধারণা করা হয়।

গত শতকের বিশের দশকের পর থেকে এখনও পর্যন্ত এ অঞ্চল থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি প্রত্ন নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। ১৯৮৬ সালে এখানে খননকাজ চালিয়ে ব্রোঞ্জের তৈরি মাস্ক খুঁজে পেয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।

খননকাজে দীর্ঘ বিরতির পরে, তৃতীয়বারের মতো খননকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। গত বছরে আরও পাঁচটি গর্ত আবিষ্কার করেছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গর্তগুলি বলিদানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে থাকা অনেক জিনিস নিচে রেখে দাফন করা হয়েছিল। এই জায়গা নিয়মিত পোড়ানো হতো।

জাতীয় সাংস্কৃতিকে ঐতিহ্য প্রশাসনের উপপরিচালক গান জিনচাও বলেছেন, সর্বশেষ পাওয়া জিনিসগুলো শু রাজ্যের সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের বোঝার জায়গা আরও সমৃদ্ধ এবং গভীর করে তুলেছে।

প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান টাং ফি বলেন, ধারণা করা যায় রাজ্যটি প্রাচীন চীনের রেশম তৈরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল।

ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে এখনও স্বীকৃতি না পেলেও সম্ভাব্য ভবিষ্যতে অন্তর্ভুক্তির জন্য সানসিংদুই এই সংস্থার অস্থায়ী তালিকায় রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App