কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার ঘটনায় অন্তত ৭ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

তিনি জানান, রাত ১টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো ধোঁয়া উড়ছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এখনো কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো অনেক জায়গা থেকে ধোঁয়া উড়ছে। আমাদের টিমগুলো এখনো ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা তাদের ঘর পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছে। কিছু জায়গায় এখনো টুকটাক আগুন দেখা যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণ কিংবা এই আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপনে তদন্ত কমিটি কাজ করবে। ক্যাম্পের ঘরগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা লাগোয়া আর বাতাসের গতিবেগ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে।

গতকাল বিকেল ৪ টায় আগুনের সূত্রপাত হয় এবং এরপর কয়েক ঘণ্টা ধরে এ আগুনে পুড়ে যায় রোহিঙ্গাদের ৯ হাজার ৬০০ বসতঘর। অগ্নিকাণ্ডে ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী শতাধিক স্থানীয় গ্রামবাসীর বসতবাড়িও পুড়ে গেছে। শুরুতে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা না কমে বরং ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সহ নানা সংস্থার লোকজন ছুটে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মধ্যরাত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রাত ১ টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ক্যাম্পের অধিবাসী সৈয়দ আলম জানান, তার ঘর যেই ব্লকে সেটি সহ অন্তত ১২৬টি ব্লক পুরো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসব ব্লকে ১৩০, ১৬৫ ও ১৯০ টি করে পরিবার বসবাস করে আসছিলেন।

আগুন ‍নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা এতে যোগ দিয়েছে।