×

জাতীয়

মাওয়া-কাউরাকান্দি ঘাটে ড্রেজিং কেন হচ্ছে না : প্রশ্ন সংসদীয় কমিটির

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২১, ০৫:১৫ পিএম

মাওয়া-কাউরাকান্দি ঘাটে ড্রেজিং কেন হচ্ছে না : প্রশ্ন সংসদীয় কমিটির

রবিবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী প্রশ্ন করছেন।

মাওয়া-কাউরাকান্দি ঘাটের নাব্যতা কমে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ফেরি চলাচল বন্ধ। অনেক ড্রেজার থাকার পরও কেন ঘাটটি ড্রেজিং করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। রবিবার (২১ মার্চ) জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী এধরনের প্রশ্ন করেন।

বৈঠকে তিনি বলেন, দেশে নদী ড্রেজিং করার জন্য হপার ড্রেজার পর্যাপ্ত রয়েছে তবুও ঠিকমত নদী ড্রেজিং হচ্ছে না। যার ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ। মাওয়া-কাউরাকান্দি ঘাটের নাব্যতা কম তবুও তা ড্রেজিং করা হয়নি। এছাড়া দেশে ড্রেজার থাকার পরেও একই ধরনের ড্রেজার কেন কেনা হলো। উন্নত ড্রেজার না কিনে বারবার একই ধরনের হপার ড্রেজার কেনার আর্থিক বিষয়, টেন্ডার পদ্ধতিসহ সব কিছু আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের কথা বলেন তিনি।

তবে এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, হপার ড্রেজার কেনার বিষয়টি বর্তমান টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে।

কমিটির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআইডব্লিউটিএ) প্রকল্পসমূহের কাজের ধরন হচ্ছে, ড্রেজিং মেশিন কেনা, ড্রেজিং করা এবং নদীর জায়গা উদ্ধারের পাশাপাশি নৌ-বন্দরকে সচল রাখা। কিন্তু মাওয়া-কাউরাকান্দি ঘাটের নাব্যতা কম থাকায় গত এক যুগ ধরে ঘাটটিতে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। যার ফলে ওই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ অসুবিধার মধ্যে পড়েন। তাছাড়া বার বার কেন একই ধরনের ড্রেজার কেনা হচ্ছে তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।

এ সময় বড় প্রকল্পসমূহ দুটি পর্যায়ে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেন তিনি। প্রথম পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণ, মাটি ভরাট, সীমানা নির্ধারণ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে প্রকল্পের সময়ও বৃদ্ধি পাবে না এবং সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৩ তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি মো. আব্দুস শহীদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কমিটি সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এবং আহসান আদেলুর রহমান।

বৈঠকে উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (২য় পর্যায়),বন্যাপ্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) এবং মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্য আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট আকারে জানানোর জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া, বৈঠকে উন্নত জাতের চা নির্ধারণ করে ক্ষুদ্র খামারীদেরকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চা চাষাবাদ করাসহ চা শিল্পের শ্রমিক বা অন্য যারা নিযুক্ত আছেন তাদের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App