শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেনকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার (২১ মার্চ) আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শফিক হোসাইন।

মামলার ৫৩ আসামির মধ্যে তিনজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড এবং অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৭ জনকে রায়ে খালাস দেওয়া হয়েছে। বিচার চলাকালেই মারা যায় শরীয়তপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গসহ তিন আসামি।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৬ আসামি হলেন, শহীদ কোতোয়াল, শহীদ তালুকদার, শাহীন কোতোয়াল, শফিক কোতেয়াল, মজিবুর রহমান ও সোলেমান সর্দার। আর আদালত বাবুল তালুকদার, ডাবলু তালকুদার, বাবুল খান ও টোকাই রশিদকে যাজ্জীবন কারদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল দিয়েছে।

আসামিদের মধ্যে দুই বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে মণ্টু তালুকদার, আসলাম সর্দার ও জাকির হোসেন মঞ্জুর। জীবিত আসামিদের বাকি সবাই খালাস পেয়েছেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তেজনার মধ্যে ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর শরীয়তপুরের জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি হাবীবুর রহমান এবং তার ভাই মনির হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

হাবীবুর রহমান ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার ভাই মনির হোসেন ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

হত্যাকাণ্ডের পর হাবীবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান বাদী হয়ে সাবেক সাংসদ আওরঙ্গসহ ৫৫ জনকে আসামি করে এই হত্যা মামলা করেন।