×

জাতীয়

'পঞ্চাশ বছরেও স্বাধীনতার মূলভিত্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি'

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২১, ০১:৫৩ পিএম

'পঞ্চাশ বছরেও স্বাধীনতার মূলভিত্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি'

সেন্টার ফর  গভর্নেন্স স্টাাডিজ আয়োজিত ' স্বাধীনতার ৫০ বছর : পথওয়ে এন্ড ট্রাজেকটরিজ' শির্ষক সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত হন ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম

বাংলাদেশের সংবিধান রচয়িতা কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম বলেছেন, আমরা ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য, পাকিস্তানি জান্তার হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে যুদ্ধ করি এবং পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয়ী হই। তিনি বলেন, কিন্তু দুভার্গজনক স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সবাই সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকারসহ বেশকিছু সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। স্বাধীনতার সুফল সকলের দ্বারে পৌঁছায়নি। তিনি দেশের নতুন প্রজম্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সংবিধান প্রদত্ত সম অধিকার, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

শনিবার (২০ মার্চ ) রাজধানী একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাাডিজ আয়োজিত ‘ স্বাধীনতার ৫০ বছর : পথওয়ে এন্ড ট্রাজেকটরিজ’ শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আরো বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আয়োজক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী, সাবেক আর্মি চিফ অব স্টার্ফ লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদ, সাবেক মেজর ও মন্ত্রী হাফিজ উদ্দীন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, আমেরিকান ইলিনয় স্টেট ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ, জাপানী রাষ্ট্রদূত ইটো নাওকি, তুর্কি রাষ্ট্রদুত মুসতফা উসমান টুরান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি-বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়েদা রেজওয়ানা হাসান প্রমুখ।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। আমরা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। আগামী ২০৪১ সালে দেশ উন্নত দেশে  রূপান্তরিত হবে। তবে দেশে এখনো পি কে হালদারের মতো দূর্নীতিবাজরা রয়েছে, তারা লুটপাট করছে। বর্তমান সরকার তাদের বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা নিচ্ছে। ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পরে দেশের নিরাপত্তা বেশ ভঙ্গুর ছিল। বঙ্গবন্ধুকে বহু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা অব্যবস্থার মোকাবিলা করতে হয়। এর মধ্যে পুর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক পার্টি, সিরাজ সিকদার বাহিনীসহ আরও অনেক গ্রুপের হাতে অস্ত্রচলে যায়। বেশ কিছু নতুন সেনা সদস্য এ সময় সেনাবাহিনীর প্রটোকল ভেঙে আলাদা মতাদর্শ ধারণ করে এবং তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রহুল হক বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন ঘটিয়েছে। দেশে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যল কলেজ বাড়ানোসহ গ্রামে কয়েকহাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

ড. আলী রিয়াজ বলেন, এত বছর পরেও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজের মতো কাজ করছে না। দেশে আর্থিক লুটপাট-দুর্নীতি বেড়ে গেছে। দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।

লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা এখনো যথেষ্ঠ খারাপ। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ২০-২৫ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। সাবেক মেজর ও মন্ত্রী হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। তিনি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার দাবি জানান।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিচার বিভাগ, মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো কার্যকর করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা এভাবে চললে ভোটাররা এদেরকে লাল কার্ড দেখাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App