×

মুক্তচিন্তা

নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের গুরুত্ব

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২১, ১২:২২ এএম

১৭ মার্চ (২০২১) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় টুইট করে লিখেছেন, ‘মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা। সব ভারতীয় নাগরিকের কাছেও তিনি একজন বীর হিসেবে গণ্য হন।’ অন্যদিকে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার ৫ দিনের আয়োজনে যোগ দেবেন প্রতিবেশী ৫ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান; যার মধ্যে নরেন্দ্র মোদিও আছেন। এই সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোদি টুইটে লিখেছেন, ‘এই মাসের শেষের দিকে ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করতে পারা আমার জন্য সম্মানের বিষয়।’ নরেন্দ্র মোদি দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ২৬ মার্চ। তার ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করছেন বিশিষ্টজনরা। সফরের অংশ হিসেবে ২৭ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। বৈঠকে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা করবেন দুই সরকারপ্রধান। আলোচনা হবে দুদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সব ইস্যু নিয়ে। বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্বাক্ষর হবে ৩টি সমঝোতা স্মারক। এ সময় যৌথভাবে কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের ঘোষণাও দিতে পারেন দুদেশের সরকারপ্রধান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য প্রদান করবেন। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হবে। ২৭ মার্চ সকালে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাছাড়া তিনি সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে দুটি মন্দির পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলবেন। বিকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে পৃথক দুটি স্মারক ডাকটিকেট উন্মোচন করবেন। এই সফরকে সামনে রেখে গত ৯ মার্চ সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর ওপর একটি সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। সেতুটি সরাসরি যুক্ত করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোকে। এখন ভারতের এই রাজ্যগুলো সেতু দিয়ে সহজে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পণ্য আনা-নেয়া করতে পারবে। ৫ বছর আগেই ভারতের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার বা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা কার্যকর হয়েছে। মূলত স্থলসীমান্ত বাণিজ্যে সমস্যা কমানো গেছে, কানেক্টিভিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নতুন নতুন জিনিস যোগ হয়েছে। এসব উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, দুদেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে। অন্যদিকে ২০২০ ও ২০২১ সাল মহামারির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, তবে এর মাঝেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভালো সহযোগিতামূলক লেনদেন গড়ে উঠেছে। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও দুদেশের সহযোগিতা আছে। নানা ক্ষেত্রে দুদেশের অংশীদারিত্ব এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মোকাবিলায় চীনের আগে এ দেশে এসেছে ভারতের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা সরঞ্জাম। ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড কভার ছিল আমাদের জন্য মূল্যবান। এই উপহার ছিল করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ। ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড ১৯-এর বিস্তার রোধ করার জন্য একটি সমন্বিত আঞ্চলিক উদ্যোগ নিতে ১৫ মার্চ ২০২০ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য সার্ক নেতৃবৃন্দ একটি ভিডিও সম্মেলন করেন। এই অঞ্চলের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এটি। এই উপহারের মতো ভ্যাকসিনও উপহার পেয়েছি আমরা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত কোভিশিল্ড নামের টিকা তৈরি করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। সেই কোভিশিল্ড নামের ভ্যাকসিন গত ২১ জানুয়ারি ভারতের উপহার হিসেবে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। আগেই ভারত জানিয়েছিল, কুড়ি লাখ ডোজ টিকা বিনামূল্যে বাংলাদেশকে উপহার দেবে তারা। এই উপহার দুদেশের একসঙ্গে সংকট মোকাবিলার অনন্য নজির। উপরন্তু ২৬ মার্চ মোদির এ দেশ সফরে বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেবে ভারত। দিল্লিতে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির সরাসরি সাক্ষাৎ হয় ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে। তারপর করোনা মহামারিতে ভার্চুয়ালি একাধিক বৈঠক হয়েছে। আসলে ভারতের সঙ্গে এ দেশের সংযোগ সবসময় অটুট রয়েছে। আর এজন্য তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারত সরকার আন্তরিক এবং এ বিষয়ে কাজ অনেকটা এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার মতে, ‘শুধু তিস্তা চুক্তি নয়, বাকি যে আমাদের ৬টি অভিন্ন নদীর পানি নিয়েও আমরা আলোচনা করি।’ আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ৫ লক্ষ্যের অন্যতম হলো ‘ভারত ও নিকট প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখা।’ এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে চলেছে শেখ হাসিনা সরকার। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারত স্থলসীমানা চুক্তি ১৯৭৪-এর প্রটোকল স্বাক্ষর এবং ২০১৫ সালে স্থলসীমানা চুক্তির অনুসমর্থন শেখ হাসিনার সুদীর্ঘ প্রচেষ্টারই সুফল। ইন্সট্রুমেন্ট অব রেটিফিকেশন এবং লেটার অব মোডলিটিস স্বাক্ষরের মাধ্যম তৎকালীন ১১১টি ভারতের ছিটমহল বাংলাদেশের এবং আমাদের ৫১টি ছিটমহল ভারতের অংশ হয়ে যায়। ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে এর আগে নাগরিকত্বহীন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নাগরিকত্ব লাভ করে। এই মাইলস্টোন ঘটনাটি ঘটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে। তিনি ২০১৫ সালের ৬-৭ জুন বাংলাদেশ সফর করেন। এ সফরে সর্বমোট ২২টি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়। শেখ হাসিনা সরকারের সফল কূটনৈতিক তৎপরতায় ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থলসীমানা ও সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণভাবে নির্ধারিত হয়েছে। তবে মনে রাখা দরকার, ২০১১ সালের ৬-৭ সেপ্টেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরের ঐতিহাসিক সাফল্য হচ্ছে, এর সুবাদেই ১৯৭৪ সালের ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ঘটে যার ফলে ভারতে কংগ্রেসের উভয় পক্ষ অর্থাৎ লোকসভা ও রাজ্যসভায় চুক্তির রেটিফিকেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এ সাফল্যের কারণেই দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থলসীমানা নির্ধারণ ও ছিটমহল বিনিময় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। অবশ্য নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশের সুযোগের কারণে (সাফটা নেগেটিভ লিস্টের ২৫ ধরনের আইটেম ব্যতীত) ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে গতিশীলতা এসেছে। দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়টির উল্লেখ করে বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়িতে (বাংলাবান্ধার বিপরীতে) ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু করা হয়। স্থল শুল্ক স্টেশন/স্থলবন্দর এবং অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যিক অবকাঠামো উন্নয়নে দুদেশ ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে এসব পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ভারতের সঙ্গে ‘তিস্তা চুক্তি’ সম্পন্ন না হলেও পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং সবার জন্য সুপেয় ও নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা নিশ্চিতকরণ বর্তমান সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ বিবেচনায় বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও পানিসম্পদবিষয়ক আলোচনা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের আলোচনায় পানিকে অন্যতম ‘মানবাধিকার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে মানবজাতির অস্তিত্ব সুরক্ষায় পানির অপরিহার্যতার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। জাতিসংঘের পানিবিষয়ক ‘হাই লেভেল প্যানেল অন ওয়াটার’-এ কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মহামারির মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় আমাদের প্রধানমন্ত্রীর। মহামারির মধ্যেও দুদেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা তখন বলেছিলেন, বছরজুড়ে রেলরুট দিয়ে বাণিজ্য, উচ্চপর্যায়ের পরিদর্শন ও সভা, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারতীয় পণ্যসামগ্রীর প্রথম পরীক্ষামূলক চালান প্রেরণ এবং অবশ্যই কোভিড-১৯ বিষয়ে সহযোগিতার ন্যায় বিভিন্ন উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে ব্যাপক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, ফলে আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইন ব্যাপক বিঘ্ন ঘটা এবং ভোক্তাদের চাহিদা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও আমাদের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক নির্ভরতা রয়েছে। কিছুসংখ্যক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের উৎপাদন ও সেবা খাতে নিযুক্ত রয়েছেন এবং তারা নিজ দেশ ভারতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক এবং চিকিৎসাসেবা গ্রহণকারীকে ভারত গ্রহণ করে। এভাবে গড়ে উঠেছে দুদেশের সেতুবন্ধন। নরেন্দ্র মোদির সফরে সেই সেতুবন্ধন আরো দৃঢ় হবে বলে সবার প্রত্যাশা। তাছাড়া ২০১৯ সালের মে মাসে শুরু হওয়া নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় দফার মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হবে। মনে করা হচ্ছে, তখন ভারত চীনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশে পরিণত হবে, আবার এই দেশটি হবে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আর এ কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক গুরুত্ব বহন করে। অথচ মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে একটি গোষ্ঠীকে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি। এমন অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মোদির বিরোধিতার আড়ালে মুজিববর্ষের বিরোধিতা করছে দলটি। অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধিতা হলেও নরেন্দ্র মোদিকে সর্বোচ্চ সম্মান ও নিরাপত্তা দেবে সরকার। নরেন্দ্র মোদিকে দল-মতের ঊর্ধ্বে রেখে আঞ্চলিক সহযোগিতার অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা হিসেবে অভিনন্দন জানান এ দেশের জনগণের কর্তব্য। ড. মিল্টন বিশ্বাস :  অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App