×

সারাদেশ

৭ বছরেও চালু হয়নি ‘বাহুবল ট্রমা সেন্টার’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২১, ১১:৪১ পিএম

৭ বছরেও চালু হয়নি ‘বাহুবল ট্রমা সেন্টার’

বাহুবল ট্রমা সেন্টার।

গণপূর্ত ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে হবিগঞ্জের বাহুবলে সরকারের প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ‘ট্রমা সেন্টার ভবন’ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। দীর্ঘ ৭ বছরেও স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এই ভবনটি হস্তান্তর করতে পারেনি। ফলে একদিকে অযত্ন-অবহেলায় বিনষ্ট হচ্ছে কোটি-কোটি টাকার সরকারি সম্পদ। সেই সঙ্গে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দুর্ঘটনায় আহত স্থানীয় জনগণ।

জানা যায়, মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১০ সালে ফিজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ১০ শয্যার ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটি গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ না থাকায় সেটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে দু’বিভাগের চিঠি চালাচালিতেই কেটে গেছে ৭ বছর।

আরও জানা যায়, যথা নিয়মে ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দিয়ে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দুইবার ‘তাগাদাপত্র’ দেওয়া হয় হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। একই সময়ে গ্যাস সংযোগের ডিমান্ড নোট চেয়ে জালালাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশন কোম্পানীকে চিঠি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু এতে কোনো সাড়া দেয়নি জালালাবাদ কর্তৃপক্ষ। পরে এভাবেই ঝুঁলে থাকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ না থাকায় ভবনটি আমরা গ্রহণ করতে পারছি না। ইতোমধ্যে অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়ে গেছে নির্মিত ভবনের বিভিন্ন অংশ ও আসবাবপত্র। আমরা বার বার ‘তাগাদাপত্র’ দিলেও সাড়া দিচ্ছে না গণপূর্ত বিভাগ। ফলে বিলম্বিত হচ্ছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম শামীম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App