×

জাতীয়

দুর্নীতিমুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২১, ০৫:০০ পিএম

দুর্নীতিমুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি, তাহলে তার আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে স্ব-স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন অন্যায়-অবিচারে বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর এমন একটি রাজনৈতিক জীবন রয়েছে, যার বিরুদ্ধে তার শত্রুরাও দুর্নীতির একটি অভিযোগ করতে পারে নাই। দেশের দুর্নীতি কতটা কমাতে পারবো সেটা ভবিষ্যৎ বলবে, তবে আজ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে পারি, নিজে দুর্নীতি করবো না। নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে দুর্নীতি দমনে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবো। এটাই হবে জাতির পিতার প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ সম্মানের নিদর্শন। বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনা সভার শুরুতেই দুদক চেয়ারম্যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জাতির পিতার তিন সন্তানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদ ও সম্ভ্রব হারানো মা-বোনদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

এ সময় দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, অজপাড়াগাঁয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সুবিধা বঞ্চিত অনগ্রসর অঞ্চল থেকে কেবল সাহস এবং চারিত্রিক দৃঢ়তার কারণেই বঙ্গবন্ধু এই পর্যায়ে উঠে এসেছেন। আমার কাছে মনে হয়, বঙ্গবন্ধুকে এখনো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। যতদিন যাবে, ততই জাতির পিতা সঠিকভাবে মূল্যায়িত হবেন।

আলোচনা সভায় দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যখন চিন্তা করি ,তখন মানসপটে ভেসে ওঠে-একটি তর্জনী, বজ্রকণ্ঠ ও একটি মুষ্টিবদ্ধ হাত। এর ভাষা হচ্ছে অন্যায়-অবিচার-নিপীড়ন-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার একটি কণ্ঠ।

দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, জাতির পিতা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতা ছিলেন বলেই ১৯৭৩ সালেই বাংলাদেশ আইটিইউ-এর সদস্য পদ গ্রহণ করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি তিনিই স্থাপন করে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালেই বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো ৮০’র দশকেই বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে পারতো। যদিও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৮ সালে সেই স্যাটেলাইট আমাদের হয়েছে।

দুদক মহাপিরচালক মো. জহির রায়হানের সঞ্চালানায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব ড. মোহা: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, দুদক মহাপিরচালক মো. রেজানুর রহমান, দুদক পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান, দুদকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. কামরুল আহসান, দুদক সজেকা রাজশাহীর উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App