×

চিত্র বিচিত্র

গোমূত্র দিয়ে গোসল করে যে জাতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২১, ১২:৪৬ পিএম

গোমূত্র দিয়ে গোসল করে যে জাতি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের নানা প্রান্তে নানা জাতি, উপজাতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের সভ্যতা, আচার, সংস্কৃতি সব আমাদের থেকে একেবারে আলাদা। তবে তারা কেউ নিজেদের স্বতন্ত্রতা হারাতে রাজি নয়। এই আদিবাসী জাতিগুলি সম্পর্কে যতই জানা যায় ততই অবাক হতে হয়। আমাদের ভাবধারা গ্রহণ করতে যেমন রাজি নয়। তেমনি তারা আমাদের থেকে আলাদা থাকতেই পছন্দ করেন। অনুন্নত হলেও এখন তারা ধীরে ধীরে তারা সবদিক থেকে এগোনোর প্রয়োজনীয়তা বুঝে কোনো কোনো জাতি সাহায্য প্রদানের বার্তা দিচ্ছে।

তবে এখন যেভাবে গরুকে আমরা বিশেষ সৃষ্টিকর্তা রূপে পুজা করি এই জাতিও তাই করে। এমনকি নিজেদের নামও তারা রাখে গবাদি পশুদের নাম অনুসারে। আগেকার সমাজে পশুপ্রেম যথেষ্ট ছিল। শুধু তাই না, তারা দৈনন্দিন নানা চাহিদা মেটাতে তাদের গবাদি পশুদের ব্যবহার করতো। বিশেষ করে দুধ, মাংস, ডিম সংগ্রহের জন্যে তারা পশুদের পালন করে থাকে। এই জাতির নাম ডিংকা। এদের বাস নীল নদের তীরবর্তী অঞ্চলে। পশুচারণ ছাড়া এদের আর কোনো কাজ নেই।

তবে তারা নিজেদের পরিচয় দেয় অন্য নামে। তা হলো মুয়োজ্যাং। তারা একপ্রকার যাযাবর প্রকৃতির। ডিসেম্বর থেকে প্রায় এপ্রিল মাস পর্যন্ত নিজেদের বসতি ছেড়ে পশুদের জন্যে পর্যাপ্ত খাদ্যের সন্ধানে প্রতিবছর নীলনদের তীরবর্তী অংশে চলে যায় তারা। আবার বর্ষাকালে পার্বত্য জায়গায় তাদের নিজস্ব বাসগৃহে ফিরে আসে। এই জন্যে এদেরকে বলা হয় প্যাস্টোলর।

এই নৃ গোষ্ঠী অন্তর্গত বুড়ো থেকে ছোট শিশুরা তাদের পোষা গরুর বাঁট থেকে সরাসরি দুধ পান করে থাকে। আবার গরুর মূত্র দিয়ে আপাদমস্তক স্নানও করে থাকে। এটাকে তারা খুবই পবিত্র বলে মনে করে। শুধু তাই না, গরুর গোবর পোড়ানো ছাই গায়ে মেখে ঘুরে বেড়ায়। এদের ধারণা, এতে গায়ে মশা বসবে না। ছোটবেলায় যে নামকরণ করা হয় বয়ঃসন্ধির পর সেই নাম পাল্টে নাম রাখে গবাদি পশু বা সেই পুরুষ ও নারীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App