কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কে প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সরানোর নির্দেশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

সোমবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ ৩৭ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেন। আদালত বিশেষ ক্ষমতাবলে স্ব-প্রণোদিতভাবে এ রায় দিয়েছেন।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদনটি ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ অ্যামিকাস কিউরি এ জে মোহাম্মদ আলী, কামালুল আলম, প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, আব্দুল মতিন খসরু ও শাহদীন মালিক তাদের মতামত তুলে ধরে শুনানি শেষ করেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ। অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত শুনানির সময় ওই দিন আদালতে সংযুক্ত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ফারজানা শায়লা।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ এবং 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেনস' প্রতিবেদনটি ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন এ রিট দায়ের করেন। ১০ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেছিলেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এরই মধ্যে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখেছেন। বিটিআরসি এত দিন কী করল, তারা বন্ধ করল না কেন। এখন এগুলো বন্ধ করা আর না করা সমান।

এরপর দেশে কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধে ও ভিডিও সরাতে হাইকোর্ট কোনো আদেশ দিতে পারে কি না, সে বিষয়ে মতামত জানতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন হাইকোর্ট। আদালতে ছয় অ্যামিকাস কিউরির মধ্যে পাঁচজন আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের বিষয়ে মত দেন। এ পাঁচজন হলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিক। পাঁচ অ্যামিকাস কিউরি এ বিষয়ে করা রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মতামত তুলে ধরেন। একজন অ্যামিকাস কিউরি দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের পক্ষে মত দেন। তিনি হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু।