হালদা নদীতে মা মাছের সুরক্ষায় সিসি ক্যামেরা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২১, ১০:৫১ পিএম
হালদা নদীতে নজরদারির জন্য বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা
চট্টগ্রামের হালদা নদীর আটটি পয়েন্টে মা মাছের সুরক্ষায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নদীতে অবৈধ জাল পেতে মা মাছ ধরা, ইঞ্জিন চালিত নৌকার চলাচল বন্ধ, বালু উত্তোলন বা ডলফিন রক্ষায় নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে এগুলোর মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিশ।
হালদা নদী বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র, যাকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ বলে ঘোষণা করেছে সরকার। এপ্রিল মাসেই এখানে মাছের প্রজনন মৌসুম রয়েছে।
তার আগেই হালদা নদীর প্রাকৃতিক প্রজনন বৈচিত্র্য রক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারির এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মনজুরুল কিবরিয়া বলছেন, হালদা নদীর জৈববৈচিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, এখন ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবী ম্যানুয়ালি হালদা নদীর মা মাছ পাহারার কাজ করছে। এত বড় একটি নদীকে এত কম মানুষ দিয়ে পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। এই জন্য আমরা অনেকদিন ধরেই সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা বলে আসছিলাম।
নৌ পুলিশের বসানো আটটি ক্যামেরায় প্রজনন ক্ষেত্রের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকা কাভার করছে।
তবে ড. কিবরিয়া বলছেন, নদীর প্রজনন ক্ষেত্রের অন্তত ১৫ কিলোমিটার এলাকা সিসি টিভির আওতায় আনতে হবে। নৌ পুলিশের পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থাও বাকি এলাকায় ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ক্যামেরায় মদুনাঘাট থেকে আমতোয়া পর্যন্ত নজরদারি করা হচ্ছে। যেকোনো স্থান থেকে এসব সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করা যাবে।
প্রায় ৮১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে হালদা নদীতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউসের মতো কার্প জাতীয় মাতৃমাছ প্রচুর ডিম ছাড়ে। এসব ডিম সংগ্রহ করে কার্প পোনা উৎপাদন করা হয়।