×

জাতীয়

সরকারি চাকুরে থেকে বড় মাদক ব্যবসায়ী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২১, ১০:০০ পিএম

সরকারি চাকুরে থেকে বড় মাদক ব্যবসায়ী

১২ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় মো. এরশাদ আলম শান্তকে

৪-৫টি ইয়াবা না খেলে দিন শুরু হয়না তার করেছেন একাধিক বিয়ে পাওয়া গেছে মাদকের আরো ২ হোতার নাম

সরকারি চাকরির সুবাদে কক্সবাজারের টেকনাফে বদলি। সেখানেই কর্মরত অবস্থায় পরিচয় হয় মাদক কারবারিদের সঙ্গে। এক সময় মাদকাসক্ত হওয়াসহ জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়ও। ইয়াবার একটি বড় চালানসহ ধরাও পড়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। এ ঘটনায় মামলা হলে চলে যায় চাকরি। এর পর থেকেই পুরোদস্তর মাদক কারবারি হয়ে ওঠেন। ৪-৫টি ইয়াবা না খেলে এখন দিন শুরু হয় না তার।

১২ হাজার ইয়াবাসহ মো. এরশাদ আলম শান্ত (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উঠে আসে এমন তথ্য। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজতে রয়েছেন এ ব্যক্তি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার ( ১৩ মার্চ) ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এছাড়াও তার নেপথ্যের গডফাদারদের নাম পাওয়া গেছে। নজরদারিতে রয়েছেন তারা।

জানা গেছে, ইয়াবার চালান আসছে এমন গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে শুক্রবার পুরান ঢাকার বংশাল থানাধীন ৬৩/৭১, নাজিম উদ্দিন রোডের সুমনা স্টোর দোকানের সামনে থেকে এরশাদ আলম শান্তকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। অভিযানে নেতৃত্ব দেন লালবাগ কোতয়ালী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ।

ডিবির এ কর্মকর্তা শনিবার ভোরের কাগজকে বলেন, শান্ত সরকারি চাকরি করতেন। সেই সুবাদে টেকনাফ থানা এলাকায় তার বদলি হয়। সেখানে কর্মরত অবস্থায় ইয়াবা আসক্ত হয়ে পড়েন। অধিকাংশ মাদকাসক্তদেরই আমরা অপরাধে জড়াতে দেখি। তার বেলাতেও ব্যতিক্রম হয়নি। গত ২০১৮ সালে পাচারের সময় ৮ হাজার ইয়াবাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। এ ঘটনায় মামলা হলে তার চাকরি চলে যায়। এর পর তিনি আর ফিরে তাকাননি। জেল থেকে বের হয়ে পুরোদস্তর মাদক ব্যবসায়ীতে পরিণত হন।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার শান্তর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুরিংচড়ে। একাধিক বিয়ে করেছেন এ ব্যক্তি। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি তার এক স্ত্রী বাড়িতে ও আরেক স্ত্রী ঢাকাতে থাকেন। প্রতিদিন ৪-৫টি ইয়াবা না খেলে দিন শুরু হয় না তার। কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে এনে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করার জন্য ঘটনাস্থলে আসেন গত শুক্রবার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পুরান ঢাকার বংশাল, এয়াপোর্ট ও টঙ্গির এরশাদনগর এলাকাগুলোতেই মূলত মাদক সরবরাহ করে এ ব্যক্তি। কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বাদশাহ ও নওয়াবের কাছ থেকে মূলত ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরিবহন করে নিয়ে আসে শান্ত। তার আরও বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। ওই দুজন বাদেও তার কাছ থেকে আরও বেশ কয়েকজন বড় মাদক কারবারিদের তথ্য মিলেছে। তদন্তের কারণে এখন তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও আরও তথ্য পেতে বংশাল থানায় শান্তর বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় শনিবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও বাদশাহ ও নওয়াব আমাদের নজরদারিতে রয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App