×

পুরনো খবর

ফ্রিডম ফ্লাইট

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২১, ১২:১৯ এএম

অ্যান্থনি লুইস একজন সুলেখক এবং সুপরিচিত সাংবাদিক। তার রচিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ১২টি। তার জন্ম ২৭ মার্চ ১৯২৭ নিউইয়র্কে; মৃত্যু ২৫ মার্চ ২০১৩ ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজে। তিনি বাংলাদেশবান্ধব একজন সাংবাদিক। ২৮ বছর বয়সে একবার এবং ৩৬ বছর বয়সে একবার সেরা সাংবাদিক হিসেবে পেয়েছেন পুলিৎজার পুরস্কার। সেই অ্যান্থনি লুইস ইন্টারন্যাশনাল হ্যারাল্ড ট্রিবিউন ও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিনিধি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তান থেকে কারামুক্তি, লন্ডন আগমন, দিল্লি হয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের সংবাদটি তৈরি করলেন। স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে মার্চÑ স্বাধীনতার মাসে সেই সংবাদটি প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় পুরোটাই অনুবাদ করছি। লন্ডন ৯ জানুয়ারি নয় মাস দুসপ্তাহ পাকিস্তানি কারাগারে অন্তরীণ থাকার পর শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল লন্ডন এসে পৌঁছেছিলেন, তাকে দেয়া ব্রিটিশ সরকারের একটি জেট বিমানে তিনি নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ব্রিটিশ রাজধানীতে পূর্ব পাকিস্তানিদের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই নেতা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তার নতুন দেশ বাংলাদেশ ‘চ্যালেঞ্জ-ক্ষমতাবহিত একটি বাস্তবতা’। তিনি সে দেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষিত হয়েছেন, নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবার জন্য এবং তার দেশের লাখ লাখ মানুষের যেন মৃত্যু না হয় সেজন্য সহায়তা করতে তিনি জাতিসমূহের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। তার আগমন সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল বলে শেখকে ঘিরে লন্ডনে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার রাতে ইসলামাবাদে শেখ মুজিবুরকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। তিনি শেখকে পাকিস্তান এয়ার লাইন্সের একটি উড়োজাহাজে তুলে দিয়েছেন, গতকাল ভোর ৬.৩৬ মিনিটে এখানে এসে পৌঁছেছেন। তিনি লন্ডন পৌঁছার অল্প কিছুক্ষণ আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর তার আগমনের বিষয় অবহিত হয়েছে। তাঁকে অভিবাদন জানিয়ে ক্ল্যারিজেস হোটেল পর্যন্ত নিয়ে আসার জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের আয়ান মাদারল্যান্ড যথাসময়েই এয়ারপোর্টে পৌঁছতে পেরেছিলেন। হিথ তার সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ রাজধানীর বাইরে কান্ট্রিসাইডে ছিলেন, তিনি দ্রুত ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসতে এবং শেখের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সম্মত হন। গত সন্ধ্যায় শেখ এবং হিথ এক ঘণ্টা আলোচনা করেন। বাঙালিদের নতুন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক জরুরি পরিস্থিতির সমুখীন হয়েছে তা মোকাবিলা করতে ব্রিটেন তার করণীয় সবই করবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন ব্রিটেনের স্বীকৃতির জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে, সম্ভবত ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার হওয়া পর্যন্ত, যতক্ষণ না দৃশ্যমান হবে যে বাঙালিরাই তাদের ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। শেখ মুজিবুর রহমান মার্চে তার গ্রেপ্তারের পর থেকে কী কী ঘটেছে তার একটি বিবরণী হিসাবে শুনিয়েছেন। বৈঠক শেষ হবার পর হিথ শেখকে তার গাড়িতে ডাউনিং স্ট্রিটে নিয়ে আসেন।আজ ভোরে লন্ডন ত্যাগ করতে উড়োজাহাজে উঠার আগে শেখ সাংবাদিকদের বলেন, এখানে আলোচনায় তিনি ‘অত্যন্ত সন্তুষ্ট’ হয়েছেন। ব্রিটিশ উৎস থেকে জানা গেছে আলোচনার সময় বাঙালি নেতা বলেছেন বাংলাদেশের কমনওয়েলথভুক্ত হবার পক্ষে তিনি, তবে সদস্যপদের আবেদন করার আগে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তাকে আলোচনা করতে হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শেখ মুজিবুর রহমানকে টেলিফোন করেন এবং তার সঙ্গে ১০ মিনিট আলোচনা করেন। ঢাকায় যাবার পথে ভারতে কিছুক্ষণ সময় দেবার জন্য বলেন এবং তার জন্য উড়োজাহাজ পাঠাচ্ছেন বলে জানান। রয়টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরে মিসেস গান্ধী নয়াদিল্লিতে বলেছেন যে শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ এবং বিশ^ জনমতের বিজয়। মিসেস গান্ধী উড়োজাহাজ সাধার পরও রয়ালএয়ার ফোর্সের কমেট উড়োজাহাজে আজ তাকে দেশের পথে লন্ডন থেকে তুলে আনা হয়। তার চলে যাওয়াটা বিস্মিত করার মতো, কারণ নিরাপত্তাজনিত কারণে তার ফেরার আগামে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। আজ রাতে সাইপ্রাসের নিকোসিয়া থেকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, সাইপ্রাসের দক্ষিণে আক্রোতিরি ব্রিটিশ এয়ার বেইজে তেল ভরার জন্য সন্ধ্যায় উড়োজাহাজ দেড় ঘণ্টার বিরতি দেয়। গ্রিনিচ মান সময় ১৮টায় জাহাজ সাইপ্রাস ত্যাগ করে। সোমবার খুব সকালে নয়াদিল্লি পৌঁছবে বলে আশা করা যায়। সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট আর্কবিশপ ম্যাকারিয়াস যাত্রাবিরতির সময় শেখকে একটি বার্তার মাধ্যমে অভিনন্দন জানান, তার মুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তার ও তার দেশের মানুষের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের শুভ কামনা করেন। নয়াদিল্লি থেকে ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল একজন প্রটোকল কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ভোর ৮টায় যখন অবতরণ করবেন শেখ মুজিবুর রহমানকে সফরকারী রাষ্ট্রপ্রধানের সকল মর্যাদা প্রদান করা হবে। ভারতের প্রেসিডেন্ট ভিভি গিরি ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার মন্ত্রিপরিষদসহ তাকে এয়ারপোর্টে স্বাগত সম্ভাষণ জানাবার কথা। দিল্লিতে আলোচনা ইউপিআই জানিয়েছে, ঢাকার উদ্দেশে যাত্রার আগে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার প্রায় চার ঘণ্টা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাটাবার কথা; তার আগমন উদযাপনের জন্য ঢাকায় তার কর্মীরা রাতভর কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সোমবার সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেছেন। মানুষ কাঁথা বালিশ ও খাবার নিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্টের দিকে এসে জমায়েত হচ্ছে, সারারাত সজাগ থেকে তারা নেতার আগমন প্রত্যক্ষ করতে চায়। কর্মকর্তারা বলেছেন দশ লাখেরও বেশি মানুষÑ ঢাকার প্রায় সব মানুষ এয়ারপোর্ট থেকে শহরের কেন্দ্রমূল পর্যন্ত তার যাত্রাপথে অবস্থান নেবার চেষ্টা করছে। সকালে তার খোলা আকাশের নিচে সমাবেশে বক্তৃতা করার কথা। শেখ মুজিবুর রহমান কেন লন্ডনে এলেন তা অনেকটা রহস্যময় রয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন তার গন্তব্য পাকিস্তানিরা ঠিক করে দিয়েছে, অন্যদিকে ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট ভুট্টো বলেছেন গন্তব্য পছন্দটা শেখ নিজেই করেছেন। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান চায়নি তিনি সরাসরি ঢাকা কিংবা ভারতের কোথাও যান, তাহলে তা পাকিস্তানের জন্য বেশি অবমাননাকর হতো। ভুট্টো চেয়েছিলেন ইরান কিংবা তুরস্ক; তবে সরাসরি দেশে ফিরতে না পারলে শেখ পছন্দ করেছেন লন্ডন। গতকাল লন্ডন থেকে শেখ টেলিফোনে ঢাকায় তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছেন। গত মার্চে সাবেক পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট জেনারেল মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান শেখকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি করার পর এই প্রথম তাদের মধ্যে কথা হলো। ঢাকা থেকে ইউপিআই জানিয়েছে পরিবারের বড় সন্তান শেখ কামাল রহমান বলেছেন তার বাবার প্রথম প্রশ্ন ছিল, ‘তোমরা সবাই জীবিত আছ তো?’ তার ছেলে বলেন তার দ্বিতীয় প্রশ্ন, ‘তোমাদের মা কেমন আছে?’ ৫৪ বছর বয়স্ক রাজনীতিবিদের স্ত্রী বেগম মুজিবুর রহমান প্রথম দিকটাতে কথা বলতে গিয়ে আবেগে বাকরুদ্ধ হয়েছিলেন। পরে আধঘণ্টার আলোচনায় ছোট ছেলেমেয়েরা পরিবার প্রধানের সঙ্গে আধঘণ্টা ধরে কথা বলেন। ইউপিআই আরো জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের নেতারা টেলিফোনে শেখের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিগত মাসসমূহের ঘটনা প্রবাহের বিবরণী দেন। ব্রিটিশ সরকার যে রয়াল এয়ারফোর্সের উড়োজাহাজের ব্যবস্থা করেছে তা জানতে না পারার কারণে বাংলাদেশ সরকারও তাকে আনার জন্য উড়োজাহাজ ভাড়া করেছিল। শেখের সঙ্গে দেশে এসেছেন কামাল হোসেন, তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান। হোসেন শেখ মুজিবুরের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য, তিনিও তার সঙ্গে কারাবন্দি ছিলেন।লন্ডনে সংবাদ সম্মেলনে শেখ মুজিবুর জানিয়েছেন, পশ্চিম পাকিস্তানে তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছিল এবং তাকে কনডেমড সেল-এ রাখা হতো। তিনি বলেন, সেখানকার তীব্র গরম ছিল অসহ্য আর তিনি ছিলেন নির্জন প্রকোষ্ঠে, যা আরো অসহ্যকর। শেখ বলেছেন, ভুট্টো তাকে জানানোর আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনও না যুদ্ধের ফলাফল কী। যারা মার্চের আগে তাকে চিনতেন তাদের কাছে তাকে আগের চেয়ে চিকন হয়েছেন এবং যুক্তিসঙ্গত কারণেই ক্লান্ত মনে হয়েছে। তিনি যথার্থভাবে সতর্কতার সঙ্গে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে কিছুটা প্রস্বরিত ইংরেজিতে কথা বলছিলেন। অসীম আনন্দ ‘গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ, আমার দেশবাসীর সাথে স্বাধীনতার অসীম আনন্দ ভোগ করার জন্য আজ আমি মুক্ত’Ñ এই বলে তিনি লন্ডনের সংবাদ সম্মেলন শুরু করলেন। আমরা এক মহাকাব্যিক স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের সংগ্রামের চূড়ান্ত অর্জন স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ যে দেশের জনগণ আমাকে তাদের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছে। এক সময় যা পাকিস্তানের পূর্বাংশ ছিল তাই স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে ধরে রাখতে তিনি দৃঢ়প্রত্যয়ী। তিনি বলেছেন, ভুট্টো তাকে অনুরোধ করেছেন পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার একটি সম্ভাব্য যোগসূত্র যেন বিবেচনা করেন। জবাবে তিনি বলেছেন, দেশে না ফেরা পর্যন্ত তার পক্ষে কিছুই বলা সম্ভব নয়। ইয়াহিয়ার শাসনে পূর্ব বাংলায় যা ঘটেছে তিনি তার তিক্ত সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তারা ছেলেমেয়েদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। নির্মমভাবে মানুষ হত্যা করেছে ‘শতসহস্র বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।’ বাঙালিদের পাশে যেসব দেশ এসে দাঁড়িয়েছেÑ ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, পোল্যান্ড, অন্যান্য পূর্ব ইউরোপীয় দেশ, ব্রিটিশ এবং ফ্রান্সÑ তিনি তাদের প্রশংসা করেন। তারপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান। নিক্সন প্রশাসনের পাকিস্তানপন্থি অবস্থানের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কী ঘটেছে সে সম্পর্কে তিনি সামান্যই জানেন, তবে তিনি নিশ্চিত আমেরিকার জনগণ বাঙালিদের স্বাধীনতার পক্ষেই ছিল, মার্কিন প্রশাসনের কথা তার জানা নেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৈদেশিক সহায়তা গ্রহণ করবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘যে দেশ আমাদের ওপর কোনো শর্তারোপ করবে না’ তাদের যে কারো কাছ থেকে সাহায্য গ্রহণ করবেন। (৯ জানুয়ারি নিউইয়র্ক টাইমস এবং ১০ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউনে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিবেদক অ্যান্থনি লুইস হেরাল্ড ট্রিবিউনে তার প্রতিবেদনের দীর্ঘ শিরোনাম দিয়েছেন : ‘আফটার ফ্রিডম ফ্লাইট টু লন্ডন মুজিবুর ভিউ ইন ঢাকা টুডে; অ্যাপিলস ফর রিকগনিশন, এইড’। দু’বারের পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া (১৯৫৫ ও ১৯৬৩) অ্যান্থনি লুইসের এটি ছিল একটি বিশেষ প্রতিবেদন। নিউইয়র্ক টাইস অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রথম পাতার শীর্ষে চার কলাম জায়গা দিয়ে সচিত্র এই প্রতিবেদনটি ছেপেছিল। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ভুট্টো সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান, সাবেক আর্মি চিফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। পরের দিন ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউনের সংবাদে এই অংশটি ছেঁটে দেয়া অনূদিত প্রতিবেদনটি ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত। সেদিন আরো লিখেছিলেন, তিনি যখন ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তা নিশ্চিত নয়, তবে পরেরদিনের প্রতিবেদনে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।)

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App