×

জাতীয়

মোদির সফরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২১, ০৪:৫৩ পিএম

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে বলে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার (১২ মার্চ) পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত এক আলোচনা সভার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসছেন এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটা আমাদের জন্য বড় আনন্দের বিষয়। নরেন্দ্র মোদির সফরে তার সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্মত হওয়া আগের ইস্যুগুলোর অগ্রগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলতে পারেন। আগের দিন শুক্রবার অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মোদির সফর হবে শুধুই উদযাপনের। এ সফরের সময় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো তুলতে চান না। তিস্তা চিক্তি নিয়েও কোনো কথা হবে না। ভারতের সঙ্গে বড় বড় অনেক সমস্যা এর আগে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। এখনও যেসব বিষয় আছে, সেগুলোও আলোচনার মাধ্যমে আস্তে আস্তে সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে যে সফর, সেখানে এসব বিষয় আলোচনা যুক্তিযুক্ত নয়। এদিকে তিস্তা চুক্তি না হওয়ার খবর এতদিন জানা থাকলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এখন বলছেন, তা সই হয়ে গেছে ১০ বছর আগেই; তবে বাস্তবায়ন হয়নি। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তিস্তা তো অলরেডি ১০ বছর আগে চুক্তি হয়ে গেছে। বাস্তবায়ন হয় নাই। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগে দুই দেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির বিষয়ে দুইপক্ষ একমত হয়েছিল। মনমোহন সিংয়ের সফরেই বহু প্রতীক্ষিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় তা আটকে যায়। নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার ভারতের ক্ষমতায় আসার পর তিস্তা চুক্তি নিয়ে আশার কথা শোনা গেলেও মমতার মত বদলায়নি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন বলছেন, তিস্তা চুক্তি ১০ বছর আগে পাতায় পাতায় সই হয়েছে। ভারত সরকার আমাদের বলেছে, আগে যে চুক্তি হয়েছে সেটা স্ট্যান্ডবাই। তারা এটা গ্রহণ করে এবং তার থেকে কোনো ব্যত্যয় হয় নাই। কি কারণে যে বাস্তবায়ন হয় নাই, আমরা তো সেটা জানি। করোনা প্রসঙ্গে এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন। তিনি জানান, লন্ডন ফেরত কয়েকজনের দেহে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট শনাক্ত হয়েছে, এ নিয়ে সর্তক আছে সরকার।

করোনা ভাইরাসের যুক্তরাজ্যের নতুন যে ধরনটি তা জানুয়ারি মাসেই বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। কিন্তু জানুয়ারিতে পাওয়া গেলেও, সে তথ্য জানা যাচ্ছে এখন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেছেন, জানুয়ারির শুরুতেই যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের মধ্য থেকে প্রথম এই ধরন শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত ৬ জন নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রথম যে যাত্রীর শরীরে এই নতুন ধরণ শনাক্ত হয়, তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে তার শরীর থেকে সংগ্রহকৃত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে আইইডিসিআর করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের নতুন ধরণ শনাক্ত করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App