সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে আব্দুল মতিন খসরু জয়লাভ করেছেন। এছাড়া সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নির্বাচিত হয়েছেন। সাদা প্যানেলের প্রার্থী আব্দুল মতিন খসরু এবারের নির্বাচনে দুই হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নীল প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী মো. ফজলুর রহমান পেয়েছেন দুই হাজার ১৩২ ভোট। সম্পাদক পদে বিজয়ী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল পেয়েছেন সর্বোচ্চ তিন হাজার ৯৫ ভোট। এ নিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল আলীম মিয়া জুয়েল পেয়েছেন দুই হাজার ২০৪ ভোট। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ভোট গণনা শুরু হয়। নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থীরা সভাপতি, সহ-সভাপতির একটি পদ, সহ-সম্পাদকের একটি, কোষাধ্যক্ষসহ মোট আটটি পদে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থীরা সম্পাদক, সহ-সভাপতির একটি পদ, সহ-সম্পাদকের একটি পদসহ ছয়টি পদে বিজয়ী হয়েছেন। সহ-সভাপতির দুটি পদের একটিতে বিএনপি সমর্থিত (নীল) মো. জালাল উদ্দিন ও অপরটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত (সাদা) মুহাম্মদ শফিক উল্ল্যা নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত (সাদা) প্রার্থী মো. ইকবাল করিম। সহ-সম্পাদকের দুটি পদের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছেন বিএনপি সমর্থিত (নীল) মাহমুদ হাসান ও অন্যটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত (সাদা) সাফায়েত সুলতানা। এছাড়াও সাতটি সদস্য পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত (সাদা) মাহফুজুর রহমান রোমান, এ বি এম শিবলী সাদেকীন, মিন্টু কুমার মণ্ডল ও মুনতাসির আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। আর বিএনপি সমর্থিত (নীল) পারভিন কাওসার মুন্নি, এস এম ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ ও রেদওয়ান আহমেদ রানজিব নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাত হাজার ৭২২ ভোটারের মধ্যে পাঁচ হাজার ৬৭৬ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। ১৪টি পদের বিপরীতে এ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৫১ জন।