×

সাময়িকী

পারমিতার জগৎ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২১, ১২:৩৯ এএম

পারমিতার জগৎ
ফরিদ আহমদ দুলাল আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না শেষপর্যন্ত কী হবে? পারমিতার নিজস্ব রুগী, তার জীবনের অনিবার্য চরিত্র সবুজের দায়িত্ব পালন এবং গল্পকে সচল রাখার স্বার্থেই আমি পারভিন, কাহিনির গৌণ চরিত্র থেকে অনিবার্য চরিত্র হয়ে সামনে আসার সুযোগ পেলাম। আর যখন আমার কাছে সুযোগ এলো, তখন সুযোগের সদব্যবহার করাটা নিশ্চয়ই অন্যায় হবে না; সুতরাং আসুন পাঠক আপনাকে আমার নিজের কথাও কিছু শোনাই। আমি পারভিন, প্রত্যন্ত গ্রামের একজন মেয়ে। ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোণা মহকুমার দুর্গাপুর থানার ফাড়ংপাড়ায় পাহাড়ি অঞ্চল থেকে পড়তে এসেছি মেডিকেলে। রাণীখং মিশন স্কুল থেকে আমি প্রাইমারি এবং নিম্নমাধ্যমিকে বৃত্তি নিয়ে অষ্টমশ্রেণি পাশ করে বিজ্ঞানের ছাত্রী হিসেবে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হই সুসং দুর্গপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে, সেখান থেকে  এসএসসি এবং দুর্গাপুর কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করি; প্রথম বিভাগে পাশ করার পর আত্মীয়-পরিজনের চোখে স্বপ্ন এঁকে দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস-এ ভর্তি হবার সুযোগ পেয়ে যাই। আমার বাবা একজন কৃষক, গ্রামে একটা চায়ের দোকানও আছে ফাড়ংপাড়ায়, বিত্তবান না হলেও আমার বাবার সংসার অনটনের নয়। আমি যখন ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেলাম, বাবা তখন গ্রামের মানুষকে খাশি জবাই করে খাইয়েছিলেন। ফাড়ংপাড়ার গা ঘেঁষে পাহাড়, যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সোমেশ্বরী নদী, নদীর কিনার ঘেঁষে চলে গেছে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত। ফাড়ংপাড়া সরকারি প্রাথমিক স্কুল পেরিয়ে একটু সামনে গেলেই একটা সীমান্তফলক। এখানে কোন কাঁটাতার নেই। সোমেশ্বরী নদীর অদ্ভূত একটা চরিত্র, একটু আগেই দেখলেন নদীতে জল¯্রােত বয়ে যাচ্ছে, আবার একটু পরই দেখবেন নদীজুড়ে পড়ে আছে বিস্তীর্ণ চড়া। প্রতিদিন সকালে সোমেশ্বরী নদীতে শত শত মানুষ স্বচ্ছ জলের ভাঁজ খুলে তুলে আনছে কালো কয়লা। জল থেকে কয়লা কুড়ানো এ জনপদের শত শত মানুষের জীবিকা।  পড়ালেখা ভালোই চলছিলো আমার, এ ক’বছরে গ্রামের মানুষ আমায় ‘ডাক্তার’ নামে সম্বোধন করতে শুরু করেছে। বাড়িতে গেলে প্রতিদিন সকাল থেকে অনেক রুগীর ভিড় জমে যায়। আমি যে এখনো ডাক্তারি পাশ করে বেরুইনি সে কথাটা কাউকে বোঝাতেই পারি না। অগত্যা সবাইকে কিছু চিকিৎসা-পরামর্শ দিয়ে বিদায় করতে হয়। ভাববেন না, সুযোগ পেয়েই আমি নিজের বয়ান করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি আসলে আমার সামাজিক অবস্থানটি সহজ করার স্বার্থে নিজের জীবন-বাস্তবতার একটা ছবি সবার সামনে তুলে ধরতে চাইলাম; আমি কোন পরিবেশ থেকে মেডিকেলে পড়তে এসেছি। ধারনা করি আমার পারিবারিক পটভূমি জানলে আমাকে নিজে নিজে ব্যাখ্যা করে বুঝে নিতে সুবিধা হবে। ময়মনসিংহে পড়তে এসে বুঝেছি আমাদের এলাকার স্বাতন্ত্র্য। আমাদের এলাকায় একদিকে গারো-হাজং ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর মানুষ আর বাঙালি জনগোষ্ঠীর সহাবস্থানের গৌরব যেমন আছে, তেমনি আছে সমতল আর পাহাড়ের পাশাপাশি অবস্থান। এ অঞ্চলের টংক আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, আর হাজং স¤প্রদায়ের ঐতিহাসিক হাজং বিদ্রোহ যেমন দুর্গাপুরকে গৌরবান্বিত করেছে, তেমনি টিপুপাগলার বৃটিশবিরোধী সংগ্রাম আমাদের দিয়েছে গৌরব। হাজং নেত্রী রাশিমনি হাজংয়ের আত্মত্যাগ আর কুমুদিনী হাজং-এর জীবনসংগ্রাম, রাণী খং-এর লোকপুরাণ; শাদামাটির পাহাড়, যে মাটি দিয়ে চিনামাটির বাসনকোসন তৈরি হয়, সবমিলিয়ে দুর্গাপুর এক বৈচিত্র্যময় অঞ্চল। রাণী খং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে জেনেছিলাম রাণী খং-এর লোকপুরাণ। গারো ভাষায় ‘খং’ অর্থ গুহা। রাণী খং মানে রাণীর গুহা। সোমেশ্বরী নদীর একটা ধারা পাহাড়ের নিচে গুহায় ঢুকে আছে, যে গুহার অস্তিত্ব আমার শৈশবে বন্ধ করে দেয়া হয়। রাণী খং পাহাড়ের উপর প্রায় শতবর্ষ আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো রাণী খং ক্যাথলিক মিশন। আমাদের অঞ্চলের মানুষ বিশ্বাস করে, এ অঞ্চলের রাজা দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন, দ্বিতীয় স্ত্রী মানবী ছিলো না, ছিলো রাক্ষসী। বিয়ের পরে রাজা জেনে ছিলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাক্ষসী। রাক্ষসী রাণী প্রতিদিন রাতে খেয়ে ফেলছিলো হাতিশালের হাতি, ঘোড়াশালের ঘোড়া, কখনো রাজ্যের অসহায় মানুষ। রাজা রাক্ষসী রাণীর নৃশংসতা থেকে মুক্তি পেতে রাক্ষসী রাণীর জন্য একটা লোহার খাঁচা তৈরি করালেন, অতঃপর রাণীকে কৌশলে সেই খাঁচায় ভরে পাহাড়ের গুহায় ফেলে আসলেন এবং সেই গুহায় একসময় রাণীর মৃত্যু হলো। সেই থেকে ঐ জায়গার নাম হলো রাণী খং। রাণী খং পাহাড়ের সেই গুহায় একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেতো শোনা যায়। রাণী খং স্কুলে পড়ার সময় গুহার পাশ দিয়ে যাবারকালে আমরা ভয় পেতাম খুব; কেবল মনে হতো, রাক্ষসী রাণী বেরিয়ে এসে আমাদের খেয়ে ফেলবে। সে বিশ্বাস এখন আর কাজ করে না বটে, কিন্তু এখনও ওপথে যেতে আমার গা ছমছম করে। দুর্গাপুর এক এমন জনপদ যেখানে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী গারো এবং হাজং স¤প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের বাস। বাংলাদেশে গারো এবং হাজং স¤প্রদায়ের যতো মানুষ বাস করে তার সিংহভাগের বাস দুর্গাপুর অঞ্চলে। শিশুকাল থেকেই যেহেতু আমার দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে ওঠা-বসা-চলাফেরা, আমার বন্ধুদের অনেকেই যেহেতু গারো-হাজং স¤প্রদায়ের, সঙ্গতকারণেই কোন না কোনভাবে তাদের প্রসঙ্গ আমার কথায় এসে যেতে পারে; আপনি কিছু মনে করবেন না আশাকরি। আমি অবশ্য জানি পাঠক, আপনি উদ্গ্রীব হয়ে আছেন কবি সবুজ-এর কথা জানার জন্য; হ্যাঁ, পাঠক আমিও সে দায়িত্ব নিয়েই আপনাদের মুখোমুখি হবার সুযোগ পেয়েছি। এ কথা তো সত্যি, সবুজ আমার প্রযতেœ না থাকলে আমি সুযোগই পেতাম না এমন এক অবস্থানে আসবার। আমি তাই দ্রæত আপনাদের নিয়ে সবুজের কাছে পৌঁছাতে চাই। পারমিতা চলে যাবার পর যখনই আমি সবুজের কেবিনে গেছি, দেখেছি সবুজের অসুস্থ মুখে বিষাদের ছায়া। আমি অবশ্য যথাসম্ভব তার সাথে সহজ ব্যবহার করতে চেষ্টা করেছি। কখনো তাকে অষুধ খাওয়ানো, কপালে হাত দিয়ে শরীরের উত্তাপ পরখ করা, কখনো নাড়ি টিপে রক্তের স্পন্দন পরীক্ষা করা, আবার কখনো বা মাথার চুলে আঙুল চালিয়ে আন্তরিক হতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু কখনো তার মুখ থেকে বিষাদের ছায়া সরে যেতে দেখিনি। প্রথম দিনই আমি তাকে বলেছিলাম, পারমিতার বাস্তবতার কথা, কবির মধ্যে কোন পরিবর্তন দেখলাম না। দু’দিন কাটলো; আমি চাইলাম সহজ হতে। বললাম, “কবি, এ কথা সত্যি আপনি হয়তো আমায় ভালো চেনেন না; কিন্তু আমি পারমিতার বন্ধু, পারভিন আখতার; পারমিতার সহপাঠী এবং হোস্টেলের রুমমেট। বুঝতেই পারছেন ও আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পরস্পরের সব একান্ত কথা আমরা পরস্পরের সাথে শেয়ার করি।” আমি কথা বলে যাচ্ছি, সবুজ কেমন অপলক-অর্থহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার মুখের দিকে। সবুজের দৃষ্টি আমাকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেললো। নিজেকে কিছুটা সহজ করে নিয়ে আবার বললাম, “আপনাকে একটা জরুরি কথা জানাবার আছে। বাড়ি থেকে হঠাৎ জরুরি খবর আসায় পারমিতা জামালপুর চলে গেছে ওর ভাইয়ার সাথে। আপনার সাথে দেখা করে যেতে পারেনি, তাই আমাকে বলে গেছে, আমি যেনো আপনার খোঁজ-খবর রাখি।।” সবুজের চোখে-মুখে সামান্য পরিবর্তন দেখলাম না। তাকে সহজ করতে আমি আবার কথার সুর বদলাতে চেষ্টা করে বললাম, “বুঝতে পারলেন তো কবি সাহেব, এখন থেকে এখানে আপনি আমার প্রযতেœ থাকবেন। আপনার সুবিধা-অসুবিধা, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা আমার সাথে বলবেন। মুখে যদি বলতে কষ্ট হয়, চোখের ভাষায় বলবেন, তা-ও যদি সমস্যা হয়, মনে মনে বুকের ভাষায় কিংবা কবিতার ভাষায় বলবেন; আমি বুঝে নেবো।” সামান্য শব্দ করে হাসলাম। এবার কবির মুখে ভাষা ফুটলো, “আপনি কবিতা পড়েন?” তাকে খুশি করতে বললাম, “খুব না, তবে আপনার কবিতা পড়েছি।” চোখ বন্ধ করে কবির সেই কবিতাটা বললাম- “প্রখর রোদ্দুরে একখÐ মেঘ যেনো ছায়া দিয়ে গেল কানে কানে প্রশ্ন করে গেল ‘এতোদিন কোথায় ছিলেন?’ তবে কি মেঘের ভিন্ননাম বনলতা সেন ছিলো একদিন? ভেতরে যন্ত্রণা ছিলো যতো এতোদিন মেঘবালিকার স্পর্শে হয়ে গেলো পলকে বিলীন!.....” কবির অসুস্থ মুখে মৃদু পুলক দেখা গেলো। কিছুটা বিস্ময়মাখা কণ্ঠে বললেন, “আমার কবিতা আপনার মুখস্ত?” কোত্থেকে আমার মধ্যে যেনো একটা শক্তি অনুভব করলাম, নিজের কথায় নিজেই বিস্মিত হবার আনন্দ নিয়ে বললাম, “কী করবো বলুন, ভালো লাগলো বলে ভালোবেসে ফেললাম। বুকে তুলে রাখলাম যতেœ। এমনিতে তো আপনার কবিতা কাছে রাখবার অধিকার আমার নেই; কিন্তু ভালোবেসে বুকে তুলে রাখলে কে বলুন কেড়ে নিতে পারে? আমি কি কিছু ভুল বললাম কবি?” কবি যেনো হঠাৎই কিছুটা সহজ হয়ে গেলেন। “না-না, ভুল কেনো! ঠিকই বলেছেন আপনি। আচ্ছা সত্যি করে বলুন তো, এতো সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলাটা শিখলেন কোত্থেকে? আপনিও কি কবিতা লেখেন?” এবার আমি হাসলাম শব্দ করে, “সুন্দর করে কথা বলার অধিকার বুঝি কেবল কবিরই থাকে?” সবুজ একটু অপ্রস্তুত হলেন যেনো, “না তা ঠিক নয়! তবে সাধারণত কাউকে এতো সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে শুনি না আমি।” এবার আমি কিছুটা রহস্য করে বললাম, “সবুজ পাহাড়ের কাছে আমি শিখেছি নৈঃশব্দ্যের কথামালা, ঝর্নার কাছে শিখেছি মুখর হবার কলা; পাহাড় থেকে যখন বন্য হাতিরদল নেমে আসে শস্যক্ষেতে, তছনছ করে যায় ধানক্ষেত-দরিদ্র কৃষকের ঘর, মানুষের মুখে শুনেছি আর্তির স্বর। পাহাড়-দুহিতা আমি মেঘের স্বজন; প্রকৃতির নীরবতা পড়ে জেনেছি কে আমার ঘনিষ্ঠজন।” কথাগুলো বলে আমি নিজেই বিস্মিত; কোত্থেকে বলছি এসব কথা? আমি কি ইতোপূর্বে পঠিত কোন কবিতা বলছিলাম? আমার কথায় সবুজও বিস্মিত; আপ্লুত কণ্ঠে বললেন, “দয়া করে রহস্য করবেন না! সত্যি বলুন, আপনি কবিতা লেখেন? না-কি কারো কবিতা মুখস্ত বললেন? আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায় বলুন তো?” এবার আমার বুকে সংশয় কাজ করছিলো, তবুও সাহস নিয়ে বললাম, “নেত্রকোণা মহকুমার দুর্গাপুর। গেছেন কখনো দুর্গম পথ পেরিয়ে?” অসুস্থ কবির চোখে-মুখে সেই প্রথম দেখলাম চঞ্চলতা। পলকেই যেনো কবি সুস্থ হয়ে উঠলেন, “দুর্গাপুরের কোথায়?” আমি সীমান্ত এলাকার মেয়ে, পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বাড়ি, ওখানে শহরের মানুষ সহজে যায় না, ভাবলাম, কবি নিশ্চয়ই চিনবেন না, তাই আবার রহস্য করে বললাম, “নাম বললেই চিনবেন? সেটা খুব দুর্গম এলাকা, পাহাড়ের কাছে, আমার গ্রামের নাম ফাড়ংপাড়া। বাংলাদেশের সীমান্তে।” আমায় বিস্মিত করে দিয়ে কবি বললেন, “সে-তো আমার স্বপ্নের গ্রাম। আহা কী দুর্গম অঞ্চল! জারিয়া পেরুলে প্রথম বাধা খর¯্রােতা পাহাড়ি নদী কংশ, ঝাঞ্জাইল বাজার পেরিয়ে আরও কিছুদূর দুর্লঙ্ঘ শুকনাকুড়ি! বর্ষায় কখনো কখনো মৃত্যুফাঁদ হয়ে ওঠে শুকনাকুড়ি। দুর্গাপুরের অমোচনীয় দুঃখ যেনো শুকনাকুড়ি। বিরিশিরি উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি পেরিয়ে অতঃপর সোমেশ্বরীর প্রতিরোধ! টংক আন্দোলনের নেতা কমরেড মনি সিং। মনি সিং-এর সহযোগী কমরেড দুর্গাদাস তেওয়ারির দেখা পেয়েছেন? আহা দুর্গাপুর হাজং বিদ্রোহের আত্মোৎসর্গী নেত্রী হাজংমাতা রাশিমনি; দুর্লঙ্ঘ পথ পেরুলেই তো দেখতে পাই কুমুদিনী হাজং-এর মুখ। মনোহর দুর্গাপুর! দেখেছেন আপনি কুমুদিনী হাজংকে কখনো? কমরেড মনি সিং কে দেখেছেন- অমিত সাহস যার? ফাড়ংপাড়া থেকে সামান্য দূরে দুদিকেই তো সাদা-মাটির পাহাড়! সোমেশ্বরীর মহাশোল মাছ খেয়েছেন? গর্তে লুকিয়ে থাকা চেং মাছ ধরেছেন কোনদিন? সোমেশ্বর পাঠকের নাম শুনেছেন আপনি পাহাড় দুহিতা?” কবি যেনো কোন আবেগে বলে গেলেন এতোগুলো কথা। মনে হলো মুখস্ত বলছেন, যেনো অন্তরের চোখে দেখতে পেলেন সব। কবি যেনো হাঁপিয়ে উঠলেন। খাটের রেলিঙের উপর গা এলিয়ে অর্ধশায়িত ছিলেন কবি। আমি কবিকে সযতেœ শুইয়ে দিলাম। মাথায় আঙুলের বিলি কেটে দরদ দিয়ে বললাম, “প্লিজ কবি, শুয়ে বিশ্রাম নিন! আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন। আপনার তো উত্তেজিত হলে চলবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App