×

সম্পাদকীয়

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২১, ১২:১২ এএম

প্রথমবারের মতো নদী সেতুর মাধ্যমে যুক্ত হলো প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারত। ফেনী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে মৈত্রী সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি সেতুটির উদ্বোধন করেন। এতে করে মৈত্রী সেতুতে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা সহজ হবে। পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসার ঘটবে। দুই দেশের অর্থনৈতিক বন্ধনও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছি। জানা গেছে, সেতুটির এক প্রান্ত বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়, অন্য প্রান্ত ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম শহর। এক দশমিক নয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু রামগড়ের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমকে যুক্ত করেছে। ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরামসহ পূর্বাঞ্চলীয় ৭ রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন দুই প্রধানমন্ত্রী এ সেতুর ভিত্তিস্থাপন করেছিলেন। ১৩৩ কোটি রুপি ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত এই দুটি নিকট প্রতিবেশী দেশ বহুমাত্রিক পারস্পরিক স্বার্থের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ। এর শুরুটা হয়েছিল ঘোর দুর্দিনে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। সে সময় ভারতের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার সহযোগিতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ভুলিনি ১৯৭১ সালে কীভাবে আমাদের জনগণকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছিলেন, সমর্থন দিয়েছিলেন, সহযোগিতা করেছিলেন এবং আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিলাম। শেখ হাসিনা আশা করেন, মৈত্রী সেতু ত্রিপুরা এবং আশপাশের ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি করবে। ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরামসহ দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৭ রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সেতু নির্মাণ করার কথা দুই দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এই সেতু বাণিজ্যের নতুন পথের পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। এই সেতু খুলে দেয়ার পর উত্তর-পূর্ব রাজ্যের গেটওয়ে হয়ে যাবে ত্রিপুরা, যেখান থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো খুবই সহজ হবে, কারণ তা সাব্রুম থেকে মাত্র ৮০ কিমি দূরে। মৈত্রী সেতুর কারণে পণ্য পরিবহন এবং পর্যটন খাত আরো উন্নত হবে। সর্বোপরি এই সেতু ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীবন্ধনের এক প্রতীক হয়ে থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App