×

মুক্তচিন্তা

পুরুষের মানসিক বৈকল্য দূর করা জরুরি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২১, ১২:৪১ এএম

প্রতি বছর ৮ মার্চ এলে বাংলাদেশেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিশ্ব নারী দিবস পালিত হয়। সভা সমিতিতে অনেক বক্তব্য শোনা যায়, সেমিনারে বিজ্ঞজনদের মুখে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতায়ন নিয়ে অনেক ধরনের কথা আলোচিত হয়, অনেকেই পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন। রাস্তায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। ব্যানার ফেস্টুনে নারীর জয়গান তুলে ধরা হয়। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটে কতটা? গত এক দেড় দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর শক্তিশালী অবদানের কথা কেউ কি অস্বীকার করতে পারবেন? আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের নেপথ্যে কারিগর নারী শ্রমিকদের যথার্থ মূল্যায়ন কি সম্ভব হয়েছে আজো? পারিবারিক জীবনে গৃহে যে নারী রাতদিন অসামান্য অবদান রেখে চলেছে জীবনভর, তার প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করছি কি আমরা? নারী সহিংসতা, নির্যাতন, বঞ্চনা, নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন হরদম। আমরা কি নারীর পক্ষে সুবিচার সুনিশ্চিত করতে পারছি? এ রকম আরো অনেক প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে কেবলই হতাশ হতে হয়। আমরা সেই হতাশা কাটিয়ে নারীর প্রতি যথার্থ সম্মান এবং তার প্রাপ্য সুনিশ্চিত করতে চাই। আশা করি, এ বিষয়ে সব দল ও মতের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবেন এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাই আন্তরিক হবেন। আমাদের সমাজে সচরাচর কী দেখছি আমরা? একটি মেয়ে বিয়ের পর শ^শুরবাড়ি কিংবা স্বামীর সংসারে পা রাখতেই তার জীবনের ছকটাই পাল্টে যায়। স্বামীর সংসারের নানা দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে হয় তাকে। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ঘরদোর সামলানো, অতিথি আপ্যায়ন, সন্তান লালন পালন, তাদের লেখাপড়ার দিকে নজর দেয়া, স্বামী-শ^শুর-শাশুড়ির সেবা যতœ করা, দেবর-ননদের নানা বিষয় খেয়াল রাখাসহ অগণিত বিষয়ে নজর দিতে হয় একজন বিবাহিতা নারীকে। এর বিনিময়ে সমাজে তার পরিচিতি ঘটে একজন গৃহবধূ হিসেবে। এত সব করতে করতে তার কীভাবে দিন পেরিয়ে রাত হয়, রাত শেষে ভোর হয় খেয়াল থাকে না। নিজের দিকে তাকানোর ফুরসত পায় না সে একদম। একটি সংসারে হাজারো দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের পরও তার কোনো বিষয়ে বলার অধিকার নেই। পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। অথচ বিয়ের আগে একটি মেয়ে তার ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে কত স্বপ্নের জাল বুনে। সেই স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশা নিয়ে স্বামীর সংসারে পা রাখে। তার বিশ্বাস থাকে স্বামীর প্রতি, আশা থাকে নিজের স্বপ্ন পূরণের, স্বামীর সহযোগিতা সহানুভ‚তি লাভের। দিনে দিনে তার সেই স্বপ্নগুলো ফিকে হতে হতে একসময় হারিয়ে যায়। এটা আমাদের সমাজের খুবই সাধারণ একটি চিত্র। যুগ যুগ ধরে এটা চলে আসছে। সময়ের ধারাবাহিকতায় অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও নারীর ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। সংসারের ঘানি টানাই যেন তার নিয়তি। নারীর সব স্বপ্ন শূন্যে মিলিয়ে যায়। মাঝে মাঝে নিজের পরিণতির কথা ভেবে ভেবে আকুল হয় যে, তার বুক চিরে সবার অলক্ষ্যে শুধুই দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। মনের একান্ত কথাগুলো সে কাউকে খুলে বলতে পারে না। নিজের দুঃখ যন্ত্রণা বঞ্চনা আর নিপীড়িত হওয়ার গøানি একাকী বয়ে বেড়াতে হয় তাকে। আমাদের সামাজিক কাঠামো এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত যেখানে নারী তার নিজের জন্য কিছু করতে পারে না। যা করে সে তার সব ফল ভোগ করে অন্যরা। অবিরাম তাকে কাজ করে যেতে হয়। অসুস্থ হলে তার পাশে কেউ থাকে না। নারীর নিজের সত্তা, নিজের অভিমত প্রকাশের ক্ষেত্রে নানা বাধা বিপত্তির শক্ত প্রাচীর ঘিরে দাঁড়ায়। সমমর্যাদা বাড়ির রান্নাঘর থেকেই শুরু করা উচিত। জীবন সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতা না এলে কোনোদিনই সমমর্যাদা পাওয়া যাবে না। নারী ও পুরুষ দুজনেই মানুষ। কিন্তু নারীকে তার অধিকার, মর্যাদা, সম্মান দিতে সমাজব্যবস্থা নানাভাবে কুণ্ঠাবোধ করে এখনো। পুরুষ শাসিত সমাজে নারীকে আজো বিপন্ন অবস্থায় দিন কাটাতে হয়, পদে পদে লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, বঞ্চনা আর নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নানাভাবে নারীকে কোণঠাসা করে রাখার অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলে। নারীর মানবিক অস্তিত্ব ও সত্তা অস্বীকার করে তার মেধা, মনন ও বুদ্ধির বিকাশকে ব্যাহত করার প্রয়াস চলে আজো। নারীও মানুষ। কিন্তু মেয়ে মানুষ। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ন্যূনতম মানবিক ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নারীকে মানবেতর জীবনযাপনের দিকে ঠেলে দেয় পুরুষতন্ত্র। মানুষকে মানুষের অধিকার ও মর্যাদা না দেয়ার চেয়ে বড় নির্যাতন আর নিপীড়ন কী হতে পারে? অনেক ক্ষেত্রে পুরুষকে এই কর্মে অনেক নারী সহযোগিতা ও ইন্ধন জোগায়। নারী হয়ে ওঠে আরেক নারীর বিপর্যয়ের কারণ। এটাও পুরুষ শাসিত সমাজ কাঠামোর একটি খারাপ দিক। সমাজ নারীকে কিছু বাঞ্ছিত মূল্যবোধ দিয়ে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়। ফলে নারী হয় ক্ষমতাহীন-নির্যাতিত-বঞ্চিত। অন্যদিকে পুরুষ হয় ক্ষমতাশালী ও সুবিধাভোগী। যুগ যুগ ধরে আমাদের সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থা নানা ছুতোয়, নানা অজুহাতে নারীকে করেছে গৃহবন্দি। মেধা ও মননে পুরুষের সমকক্ষ অনেক ক্ষেত্রে তুলনামূলক বিচারে অপেক্ষাকৃত সেরা হলেও শুধু পুরুষতান্ত্রিক পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নারীকে পেশাগত জীবন ছেড়ে ঘরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দি থাকতে হয়। বিনা পারিশ্রমিকে ঘরের যাবতীয় কাজে আত্মনিয়োগ করতে হয়। সংসার দেখাশোনা, সন্তান জন্মদান, লালন-পালন, রান্নাবান্না, ঘরদোর পরিষ্কার করা, কাপড়-চোপড় ধোয়া, অতিথি আপ্যায়ন সব কিছুতেই নারীর দায়িত্ব। অথচ পুরুষেরও এসব কাজে অংশীদার হওয়ার কথা, তা না করে এসব কাজে সামান্য ত্রæটি বিচ্যুতি হলে নারীর ওপর মারাত্মকভাবে চড়াও হয় স্বামী নামের পুরুষ। তখন ন্যূনতম সহানুভ‚তি ভদ্রতা মানবিকতা শালীনতা দেখানোর প্রয়োজন বোধ করে না পুরুষ। এভাবেই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। সমাজের মানসিকতা এভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। নারী সব জেনে সব বুঝে নীরবে সব মেনে নেয়। এটাই যেন তার নিয়তি। বিনা প্রতিবাদে তার প্রতি সব অন্যায়মূলক আচরণ, অশালীন অমানবিক অভদ্র আচরণ মুখ বুজে সহ্য করে যায়। এভাবে নির্যাতন, লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনার শিকার হয়ে যদি তার প্রাণ অকালে নিঃশেষ হয়ে যায় তাতেও কিছু বলার যেন থাকে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নারী-পুরুষ যেখানে হাত ধরাধরি এগিয়ে চলছে, সমাজ সভ্যতার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করছে, সেখানে এখনো আমাদের নারীর প্রাপ্তি এবং সমাজে তার অবদানের যথার্থ স্বীকৃতি লাভ প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরিসংখ্যান তথা বিচারে আজো নারীকে পুরুষের তুলনায় বেশি পরিশ্রম করতে হয়। নারীর কর্মের, অবদানের কোনো অর্থনৈতিক মূল্য বিচার করা হয় না। তাকে সব সময় পুরুষের ওপর নির্ভরশীল করে রাখার অসুস্থ মানসিকতা লক্ষ করা যায়। অথচ অনেক ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর ওপর নির্ভরশীল তার স্বীকৃতি মেলে না। ব্যাপারটি স্বীকার করতে চায় না প্রায় সবাই। ধর্মীয় অনুশাসনগুলো প্রয়োগভেদে পুরুষরা নিজেদের সুবিধার জন্য নিজেদের মতো করে বলেন। মূলত এখনো নারীর নিজের কোনো পরিচয় নেই। যে কোনো বাবার মেয়ে, কোনো ভাইয়ের বোন, কোনো স্বামীর স্ত্রী কিংবা কোনো ছেলে বা মেয়ের মাÑ এটাই বিবেচিত হয়। আজো নারীকে পুরুষের চেয়ে ছোট কিংবা নিকৃষ্ট মনে করা হয়। যে বিয়েকে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর একমাত্র নিয়তি বলে গণ্য করা হয়, সেই বিয়ের মাধ্যমে নারীর বন্দি জীবন কিংবা নির্যাতনের দুয়ার উন্মুক্ত হয়। নারীর কোয়ান্টিটি টাইম অনেক আছে, কিন্তু কোয়ালিটি টাইম একটুও নেই। মনের মধ্যে জমে থাকা সব দুর্বলতা, হীনম্মন্যতা ঝেরে ফেলতে হবে। জীবন তো একটাই। এক জীবনের হাসি কান্না-দুঃখ সবার একই। অথচ নারী এখনো মর্যাদায় খাটো এই সমাজে। যৌতুক, পরকীয়া, পারিবারিক কলহ, কুসংস্কার ইত্যাদির জের ধরে নারীর ওপর চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে আজো অনেক নারী আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিনই খবরের কাগজ খুললে আমাদের চোখে পড়ে নারী ধর্ষণ, অপহরণ, যৌন হয়রানি, অঙ্গবিকৃতি, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের জন্য পর্যায়ক্রমিক অত্যাচার এমনকি বিভীষিকাময় চিত্র। এসব বিষয় আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রাত্যহিক চিত্র। বিয়ের মাধ্যমে মুসলিম নারীর যে মোহরানার অধিকার স্বীকৃত, আজো বেশিরভাগ নারী তা থেকে বঞ্চিত। উপরন্তু ভরণপোষণের যে বিষয়টি থাকে, সেক্ষেত্রে অনেক পুরুষই তা নিশ্চিত করে না। সংসারের জোয়াল নারীকে নিজের কাঁধে তুলে নিতে হয়, জীবনের পরতে পরতে যে সুখ ও আনন্দ তাতে অবগাহন করার সুযোগ কিংবা অধিকার অনেক নারীরই থাকে না। নানা বাধা-বিপত্তির পরও গত দুই দশকে মানবিক খাতে নারীর ঈর্ষণীয় অগ্রগতি হলেও ক্ষমতায়নের জায়গাটি এখনো দুর্বল। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া পরিবার থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দুর্বল, নারী ব্যাপকভাবে নির্যাতনের শিকার, সম্পদের ওপর তাদের অধিকার নেই বললেই চলে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নারীর যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে করে আমরা স্বস্তি পেতে পারি বটে, কিন্তু অত্যাচার নির্যাতন খুব একটা কমেনি, সমাজের ভেতরেই সংকট রয়ে গেছে। নারী ব্যাপক পরিসরে সক্ষমতা অর্জন করেছে, কিন্তু ক্ষমতায়ন সে তুলনায় কম বলা যায়। নারীকে আরো বেশি ক্ষমতায়িত করতে হলে রাজনীতিতে নারীকে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। ক্ষমতায়নের জন্য রাষ্ট্র যদি একটি কাঠামো দাঁড় করায়, তাহলেই কেবল নারীদের যে উন্নয়ন তা টেকসই হতে পারে। নারীর ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না নারী এমন কাজ করে পুরুষের তিনগুণ। অর্থনৈতিক মজুরিবিহীন এসব কাজের কোনো মূল্যায়ন হয় না। পরিবার গঠনে নারীর ভ‚মিকা মুখ্য হলেও পরিবারে তার অবদানের কোনো স্বীকৃতি নেই। নারীর অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দরকার। নারী নিজের প্রয়োজনে শ্রমবাজারে যুক্ত হয়েছে, কেউ তার আসার পথ তৈরি করে দেয়নি। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখন যে নারীরা আছেন, তারা নারীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কাজ করছেন। কিন্তু নারী উন্নয়ন যদি পদ্ধতি ধরে না এগোয়, তাহলে তা টেকসই হবে না। আমাদের নারী হিমালয়ের চ‚ড়ায় উঠেছে, সেনাবাহিনীতে কাজ করছে, কিন্তু নারীর প্রতি পুরুষের যে মনোভাব তা এখনো অনেক নিচে পড়ে আছে। এভাবে নারী নির্যাতন এখনো অনেকের চোখে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এখন পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা নারীকে আরো বেশি পণ্যে পরিণত করেছে। আসলে নারীকে পুরুষের সমমর্যাদা দেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পুরুষের মানসিক বৈকল্য দূর করা। এটা সবচেয়ে জরুরি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অধিকার পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার এক ধরনের অদম্য মনোভাব। এজন্য নারীদের দীর্ঘ লড়াই করতে হবে। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নারীরাও ছিলেন পুরুষের পাশাপাশি মিছিলে, ভাষাসংগ্রামী ছিলেন অনেক নারী। তারা পুরুষের সঙ্গে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেছেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীরাও তাদের বিপ্লবী চেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন, সাহসিকতার, ত্যাগের অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এখন সেই নারী কেন পিছিয়ে থাকবে স্বাধীন বাংলাদেশে? রেজাউল করিম খোকন: সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App