×

জাতীয়

করোনার পুনঃসংক্রমণে সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২১, ১০:৫৩ পিএম

করোনার পুনঃসংক্রমণে সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
দেশে করোনা ভাইরাসের পুনঃসংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার সুপারিশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। সেই সঙ্গে দেশে করোনার সংক্রমণের একটি সঠিক তথ্য চিত্র পেতে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেন তারা। সোমবার (৮ মার্চ) বিকালে ‘করোনার এক বছরে বাংলাদেশ : সফলতা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এই সুপারিশ করেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও মিডিয়া সেলের প্রধান অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় সেমিনারে বক্তারা গবেষণা, স্বাস্থ্যসেবীদের প্রণোদনা, স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ, টিকা উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, টিকার ২য় ডোজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে জনগনকে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেন তারা। দেশেই করোনা টিকা উৎপাদনের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এখন দেশেই করোনা টিকা উৎপাদনে হাত দিয়েছি। ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ল্যাবে এটা তৈরি হবে। টিকা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট একটা ল্যাব দরকার। ঔষুধ প্রশাসনের একটি ল্যাব আছে। এই ল্যাবের একটি অংশ ইতোমধ্যে টিকা উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ল্যাবের অনুমোদন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেয়। অনুমোদন পেতে আমরা আবেদনও করেছিলাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সেই অনুযায়ী উন্নত করে এই ল্যাব দিয়েই টিকা উপাদান করা হবে। অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রধাণমন্ত্রীর যোগ্য নির্দেশনায় এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় এবং সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বাংলাদেশ করোনার সংক্রমণ মোকাবেলায় সফল হয়েছে। করোনা টিকা উৎপাদনে বিএসএমএমইউ কাজ করতে আগ্রহী। এছাড়া করোনা পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও একটি গবেষণা করার সুপারিশ করেন তিনি। অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিলো তখন আমাদের দেশে তা কমেছে। সব সময় আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসটি একটি রহস্যময় আচরণ করেছে। এখন সংক্রমণ বাড়ছে। বড় মাত্রার না হলেও সংক্রমণের অল্প ঢেউ সামনে আমাদের জন্য হয়তো অপেক্ষা করছে। সেই বিষয়ে প্রস্তুতি রাখতে হবে। করোনার সংক্রমণের প্রকৃত চিত্রটি বুঝতে গবেষণা জরুরি। এরজন্য বাজেট দরকার। তিনি এক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুলাহ হাসপাতালগুলোতে করোনার বেড সংখ্যা এখনই বন্ধ না করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কোভিড বেডের সংখ্যা সংকুচিত করে নন কোভিড বেড বাড়ানো দরকার। টিকা আমরা কিনে আনছি। বাংলাদেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা টিকা তৈরিতে সক্ষম। তাদের সেই সক্ষমতা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনার বিষয়টি নিশ্চিত করার জোর সুপারিশ করেন। বিএইচআরএফ’র সভাপতি তৌফিক মারুফের পরিচালনায় ও সহ-সভাপতি জান্নাতুল বাকেয়া কেকার সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়া, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি ও বিএমডিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুলাহ, কমিটির সদস্য ও বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, কমিটির সদস্য ও স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App