×

রাজধানী

রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর নিরাপদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২১, ১২:৪৩ পিএম

রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর নিরাপদ

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বাসস্থান। ফাইল ছবি

রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর নিরাপদ

সেমিনারে অতিথিরা। ছবি: ভোরের কাগজ।

বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের চেয়ে ভাসানচর অনেক বেশি নিরাপদ ও সুবিধাজনক বলে উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের এক গবেষণায়। দ্বীপটিতে আধুনিক সব অকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাও উচ্চমানের। ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে ভাষানচর নিয়ে ঝুঁকি নেই। সেখানে শরণার্থীদের আয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে ভাষানচরে মানুষের সামাজিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বা ব্যক্তি জীবন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হবে। তবে সেখানে সুপেয় পানি সংরক্ষণ, কুটিরশিল্প স্থাপনসহ কিছু বিষয়ে আরো গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে গবেষণায় সুপারিশ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শনিবার সকালে গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়। ‘বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কক্সবাজার থেকে ভাষানচরে স্থানান্তর: সুবিধা এবং প্রতিকূলতা’ শীর্ষক ওই গবেষণায় সহায়তা করে সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (সিএফআইএসএস)।

ফলপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএফআইএসএসের চেয়ারম্যান কমডোর এম এন আবসার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ড. দেলোয়ার হোসেন, ড. জিল্লুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সেমিনারে অতিথিরা। ছবি: ভোরের কাগজ।

মাকসুদ কামাল বলেন, ভাষানচরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু আমরা গবেষণা করে দেখেছি, সেসব আশঙ্কা সত্যি নয়। ২০০৩ সাল থেকে দ্বীপটির ভাঙ্গন ও পলি জমার চিত্র আমরা স্যাটেলাইট থেকে সংগ্রহ করেছি। তাতে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের পর সেখানে আর ভাঙ্গন নেই। উল্টো পলি জমে দ্বীপটি আরো বড় হচ্ছে। সেখানে সুনামি ও ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানলেও সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, ভাষানচর রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমির চেয়েও নিরাপদ। কিন্তু এ দ্বীপ তাদের নয়। তারা এ মাটিতে স্থায়ীভাবে থাকতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। সহায়তা করছেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। গবেষণা দলে ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম ও মারিয়া হোসাইন সদস্য ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App